সপ্তাহে কয়টি ডিম খাওয়া ভালো

সস্তায় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হিসাবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। অমলেট হোক বা সিদ্ধ, সুস্বাদু ডিমে রয়েছে অজস্র গুণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা শরীরের বৃদ্ধির জন্য ও শক্তি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয়। তার সঙ্গে ডিমে আছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ডিমের ভূমিকা কম নয়। ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত্য উপকারি। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-সিক্স এবং বি-টুয়েলভে ভরপুর ডিম।

বাড়ন্ত শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিয়মিত ডিম খাওয়া অত্যন্ত্য জরুরি। অন্য দিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য ডিম খাওয়া বেশ উপকারি। তবে, অনেকগুলি গুণের পাশাপাশি ডিমের রয়েছে কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও। অনেকেই লোভের বশে প্রচুর পরিমাণে ডিম খেয়ে ফেলেন। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ডিম খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যার মতো অসুখে বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। ডিমের কুসুম থেকেই বাড়তে পারে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে কটা ডিম খেলে ডিমের পুষ্টিগুণও পাবেন, আবার ক্ষতিও হবে না? জেনে নিন পুষ্টিবিদদের মতামত…

পুষ্টিবিদদের মতে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে ৩-৪ দিন একটি করে ডিম খেতে পারেন। যে সকল ব্যক্তিরা ওজন নিয়ে ব্যায়াম করেন, অর্থাত্ ওয়েট ট্রেনিং করেন তাঁদের শরীরে বেশি প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সেই জন্য তাঁরা অনেকগুলি ডিম খেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটি খেতে পারেন।

বড়দের ক্ষেত্রে রোজ ডিম খাওয়ায় বিধি নিষেধ থাকলেও শিশুদের জন্য সে বিষয়ে ছাড় দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। বাড়ন্ত শিশুদের প্রতিদিন ডিম খাওয়ার দাওয়াই দিচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে বাড়ন্ত শরীরের প্রোটিন ও ফ্যাটের চাহিদা পূরণ হবে। মিলবে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলও।

তবে অতিরিক্ত ওজন বা হৃদরোগের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডিম এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। সপ্তাহে ২-৩ দিন ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন তাঁরা। অতিরিক্ত তেলে ভাজা নয়, সিদ্ধ ডিম খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।