সমন্বিত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ

ভেজাল প্রতিরোধ করে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ সমন্বিত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য : চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় এ সুপারিশ করা হয়। কনসাস কনজুমার সোসাইটি আয়োজিত গোল টেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মো. জাকির হোসাইন খান।

আলোচনা সভায় খাদ‌্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়।

১. নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন বা সংশোধনী নিশ্চিত করে ‍যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের মতো সরকারি, বেসরকারি বিশেষজ্ঞসহ সব অংশীজনকে অন্তভর্ুক্ত করে ‘বাংলাদেশে সমন্বিত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে হবে।

২. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ সংশোধন করে ভোক্তার সরাসরি মামলা করার অধিকার প্রতিষ্ঠা,বাজার পরিদর্শন ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ম্যাজিস্ট্রেট, প্রসিকিউটিং এজেন্সি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রাখার বিধান নিশ্চিত করা।

৩. নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এ সংশোধনী এনে প্রতিটি জেলা ও মহানগরের এক বা একাধিক খাদ্য আদালত গঠন করা।

৪. খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ ও ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা।

৫. আমদানি পণ্যগুলোর প্রবেশমুখে মান পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া।

৬. ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি ও বেনাপোল স্থলবন্দরের পরীক্ষাগারে জনবল নিয়োগ দিয়ে তা দ্রুত চালু করা। এছাড়া, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ছাত্রছাত্রী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির কার্যক্রম বেগবান করা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

আজকের বাজার/এমএইচ