‘সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজে লাগাতে হবে’

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে তা জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজে লাগানোর জন্য দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের মহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে পারস্পরিক সৌহার্দ ও সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে। মানবকল্যাণ সব ধর্মের মূল বাণী। ’
আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘জন্মাষ্টমী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন মানবতার প্রতীক ও সমাজ সংস্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল ভাবনা।’
তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্মমতে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় তিনি যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য তিনি মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে সেখানে শান্তি স্থাপন করেন। বৈষ্ণব সাহিত্য শ্রীকৃষ্ণ দর্শন ও ভাবনায় উজ্জীবিত। শ্রীকৃষ্ণের ভাব ও দর্শন যুগ যুগ ধরে হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশসহ গোটাবিশ্ব আজ করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। করোনার প্রভাবে সারাবিশ্ব আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। জীবনযাত্রা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্ত:দেশীয় যাতায়াতসহ অর্থনীতি এক মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।’
বাংলাদেশ সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দেশবাসীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ‘ভয় নয় সতর্কতা’ এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
বাণীতে তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী’ উৎসবের সাফল্য কামনা করেন।