সম্রাটের অফিস থেকে পিস্তল, গুলি, প্রাণীর চামড়া ও ইয়াবা উদ্ধার

সম্রাট-আরমানের ৬ মাসের কারাদণ্ড

কাকরাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অফিসে অভিযানের পর রোববার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সম্রাটের সহযোগী আরমানকেও অন্য অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

‘সম্রাটকে বন্যপ্রাণীর দুটি চামড়া রাখার জন্য ছয় মাসের জেল দেয়া হয়েছে। চামড়া দুটি তার অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তারের সময় আরমানকে মাতাল অবস্থায় পাওয়ায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে,’ বলেন সারওয়ার আলম।

পাশাপাশি, সম্রাটের অফিস থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচটি গুলি, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি বৈদ্যুতিক শক দেয়ার যন্ত্র এবং ১১৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, বলেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হবে, বলেন তিনি।

‘সম্রাটের গডফাদার কে এবং তার পেছনে কারা রয়েছে তা রিমান্ডে নিয়ে তদন্ত শেষে জানা যাবে,’ যোগ করেন কাশেম।

দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে সম্রাটকে সাথে নিয়ে তার অফিসে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

এর আগে, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের’ ভিত্তিতে রবিবার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়েছে বলে জানান সারওয়ার বিন কাশেম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রতিনিধি জানান, সম্রাট আলকারা ইউনিয়নের কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে পরিবহন ব্যবসায়ী মুনির হোসেনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর সরকার সম্রাটের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ