সরকারি ও বেসরকারি খাত একই সঙ্গে কাজ করতে হবে

‘এসএসজি’র দুই যুগ পার হয়েছে। গ্রুপটি প্রাথমিক উঠতি পর্যায় থেকে পরিণত একটা অর্গানাইজেশনের দিকে যাচ্ছে। ম্যাচিউরিটির একটা পর্যায় সে পার করছে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে আমাদের যাত্রা লাইট দিয়ে শুরু হলেও ইলেক্ট্রিক্যাল এক্সেসরিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রো -প্রত্যেকটা জায়গায় কিন্তু আমরা একটা লেভেলে ফোকাস করছি যে, এখান থেকে ব্যবসা আরো বেশি বড় করা যাবে কিভাবে। চলমান এই প্রক্রিয়ায় আগামী দিনগুলোয় যেহেতু আলো নিয়েই আমাদের কাজ, তাই লাইটিং ব্যবসায় আমরা বাংলাদেশে নিজেদেরকে একটু আলাদাভাবেই দেখতে চাই। ইলেক্ট্রিক্যাল এক্সেসরিজ ও ইক্যুইপমেন্টে আমরা বাংলাদেশের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারার হিসেবে নিজেদের দেখতে চাই। আমরা প্রকৌশল ব্যবসা, পাওয়ার সেক্টর, বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিসিটি এক্সপানশনের যে বড় সুযোগ আছে, নিজেদের আমরা সেখানেও দেখতে চাই। গ্লোবাল এনার্জি বিজনেসে আমরা নিজেদের বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সারিতে দেখতে চাই। এগ্রো বিজনেসে আমরা বড় সুযোগ দেখছি আর এখানেও আমরা নিজেদের প্রথম সারিতে দেখতে চাই। অর্থাৎ, আমি বলব, ‘বিজনেস ইজ অ্যা জার্নি অব সাকসেস’- কথা বলেছেন সুপার স্টার গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন-অর রশীদ। আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন এবি টিভির সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের চুম্বক অংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

এই সময়ের ব্যবসায় চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে দেখছি
আসলে ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমি আগে দেখব, সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যাপারটি। ব্যবসা চলমান একটা প্রক্রিয়া আর আমারা উন্নয়নশীল একটি দেশ। এখানে বিজনেসকে ক্যারি অন করার ক্ষেত্রে বিজনেস অপরচ্যুনিটি ফোকাসটা অনেক বেশি। তবে অবশ্যই কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেই কিন্তু বাংলাদেশে অর্থনীতিতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এই বিজনেস গ্রোথকে বর্তমান আমাদের হিউম্যান রিসোর্স, ম্যান পাওয়ার এবং আমাদের ল্যান্ডের লোকেশন, সবকিছু মিলিয়ে আপনি দেখবেন যে বাংলাদেশের বিজনেস অপরচ্যুনিটি আজকে গ্লোবাল বিজনেস অ্যাটেনশনকে আকৃষ্ট করেছে। তবে অপরচ্যুনিটিগুলোর পাশাপাশি আমরা যদি খুব বিজনেস পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখি যে, আমাদের কিছু কিছু জায়গায় সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের বর্তমানে ইলেকট্রিসিটি, গ্যাস, ব্যবসা বাড়ানোর জন্য জমি এবং সরকারের যে বিজনেস ফ্রেন্ডলি ডকুমেন্টেশন, কমপ্লায়েন্স, এই জায়গায় যদি ব্যবসায়ী এবং গভর্নমেন্টের সাথে সমন্বয় করে বিজনেসকে সামনে রেখে উদ্যোগ নিলে, সিদ্ধান্ত নিলে, বিজনেস হাউসগুলো গ্রো করবে, এটা আমি মনে করি। এ সব কাজের জন্য ইতোমধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। বিষয়টার জন্য দরকার আসলে অ্যাকশন। প্রত্যেকটা মুহূর্ত, প্রত্যেকটা দিন আমরা পিছিয়ে পড়ব; যদি আমরা আমাদের এই সিদ্ধান্তগুলে গতিশীল করতে না পারি। কাজেই সরকার ও বেসরকারি খাত দুটোকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিনিয়োগকারী হিসেবে আমার বিবেচনা
আমি যদি এসএসজি র পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখি, তাহলে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হবে এক রকম। আর যদি এটা জাতীয়ভাবে দেখতে চাই তাহলে হবে আরেক রকম।
আমরা বাংলাদেশে আমাদের বিজনেসকে যে গ্রো করছি, আমরা ডেফিনেটলি ইয়ার টু ইয়ার এখানে গ্রোথ করছি এবং আমরা নতুন বিজনেস এখানে ইন্ট্রোডিউস করাচ্ছি। এটা কিন্তু একটা সাইন যে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ব্যবসা বড় হচ্ছে। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, আসলে দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী যারা এখানে আসবে, তাদের এখানে খুব ভালোভাবে আনা দরকার। এখানে আমন্ত্রণ জানানো এবং বিজনেস শুরু করার জন্য পরিবেশ দিতে হবে। ইজি বিজনেস ইনডেক্সে বাংলাদেশের গ্লোবালি ১৬২ বা ১৬৩ আমাদের রেটিং। এটাকে যত দ্রুত আমরা মিনিমাম করতে পারবো, রেটিং কমিয়ে আনতে পারব ততটাই আমাদের এখানে এফডিআইয়ের সুযোগ বাড়বে। আসলে এখানে কাজ করার সুযোগ আছে। তবে আমি অবশ্যই বলব, এসব নিয়ে সরকার কাজ করছে, প্রাইভেট সেক্টর কাজ করছে। এই কাজ করাটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের যাত্রাটা ভালো চলছে এবং আমি মনে করি, এখানে পাশাপাশি কাজ করলে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এটা আমাদের ইকোনমিতে অনেক কন্ট্রিবিউট করবে।

আমাদের দেশের উদ্যোক্তা
আমার কাছে কৌতুহলপূর্ণ মনে হয় যে, আমাদের দেশে একজন কৃষক থেকে শুরু করে একদম শিল্প লেভেলে যারা কাজ করে, প্রত্যেকেই কিন্তু উদ্যোক্তা হিসেবে খুব চমৎকার কাজ করছে। বাংলাদেশের বয়স প্রায় ৪৫ বছর, ইতিহাসের এই পর্যন্ত আসা, আমাদের শিল্পের অতীত কিন্তু বেশি সমৃদ্ধ নয়। আমাদের কঠিন পরিবেশের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে গ্রো করতে হচ্ছে। তবে আমরা যদি সত্যিকারভাবেই দেখি, আমাদের এখানে দক্ষ হিউম্যান রিসোর্স, আমাদের প্রফেশনাল একটা হিউম্যান রিসোর্স এখানে গ্রো করা, এখানে গভর্মেন্ট একটা বিজনেস হাউজকে ইনিশিয়াল স্টেজ থেকে একটা জায়গায় এগোনোর জন্য যে একটা ইজি ট্রেইন্ড আপ, যেখানে আসলে যে কেউ ইজি ডকুমেন্ট প্রোসিডিওরগুলো জানবে। এরকম কিছু অর্থাৎ, এন্টারপ্রেনারশীপের ওপর যদি একাডেমিক এবং প্রাইভেট লেভেলে কিছু ট্রেনিং দেয়া যেত, হাতে-কলমে যদি বিজনেসের ক্যালকুলেশন, ব্যাংকিং-ফাইন্যান্স, এই জিনিসগুলোর ব্যবহার যদি আজকে শহর এবং গ্রামে পাশাপাশি ছড়িয়ে দেয়া যেত, তাহলে নিজ থেকে গ্রো-আপ করা উদ্যোক্তারা কিন্তু অনেক বেশি পরিপক্ক হতো, তার স্বপ্নকে অনেক বেশি বাড়িয়ে নিতে পারতো।

আমাদের আছে দক্ষ মানবসম্পদ
আমার কাছে যেটা মনে হয় যে, কথাটা একদিকে যেমন সত্য, আবার আরেকদিকে কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। আমাদের এই বিজনেস হাউজগুলো গ্রো করছে, তার পেছনে আছে কর্মীদের অবদান। এই ম্যান পাওয়ারের মাধ্যমেই কিন্তু আমরা টার্নওভারকে অ্যাচিভ করছি। কাজেই আমি অপটিমিস্টিকভাবে বলব, আমাদের দক্ষ জনশক্তির সংখ্যা বেশি, তবে দক্ষতাকে আরও বেশি বাড়ানের সুযোগ আছে এবং এখানে এটা কোনও একটা বিজনেস হাউজের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আমাদের এখানে হিউম্যান রিসোর্সকে ডেভেলপ করার জন্য ট্রেনিং এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য বড় একটা বাজেট ইনভেস্ট করেছি। কিন্তু এটা সত্যিকারভাবে এসএসজি একা পারবে না। প্রত্যেক এন্টারপ্রেনার যদি তার বিজনেস হাউজের কর্মীদের জন্য এরকম একটি বাজেট রাখে, এবং সরকার যদি অটোমোবাইল থেকে শুরু করে আরো যেসব টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং আছে তার বাইরেও যদি প্রোফেশনাল গ্রো-আপ করার জন্য কিছু বাজেট রাখে, তাহলে উন্নতি হবেই। এ দেশের মানুষের ওপর আমার পুরোপুরি আস্থা এবং বিশ্বাস আছে।

আমাদের স্বপ্ন বাংলাদেশের একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড
সুপার স্টার গ্রুপে আমরা লাইটিং এক্সেসরিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সোলার প্রোপার্টিজ, এগ্রো এবং ডাইভার্সিফাইড বিজনেসে গ্রো করছি। আমাদের স্বপ্নটা আসলে বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড, যারা আগামীতে গ্লোবালি কাজ করবে এবং আমরা যারা ফার্স্ট জেনারেশন এই বিজনেসটার উদ্যোক্তা, একটা সময় আমরা হয়তো থাকবো না, কিন্তু আমাদের এসএসজি’র ব্র্যান্ডটা থাকবে, মোর দ্যান হান্ড্রেড ইয়ারস। আমাদের স্বপ্নটা এরকম। এরকম স্বপ্নচারী একটি প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করে, আমরা বিশ্বাস করি, তারাও স্বপ্ন দেখে এবং এই স্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ব্যবসা বড় করব। চলমান প্রক্রিয়ায় যে ব্যবসাগুলো আসলে সমসাময়িক সময়ে আমাদের জন্য লাভবান হবে, যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, যেখানে সরকারকে আমরা রাজস্ব, কর ও আরো আয়মূলক কিছুদিতে পারব।এসব জায়গায় আমরা ব্যবসা প্রসার করব ।

নতুনদের জন্য পরামর্শ
প্রথমেই আমাদের হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টকে যেটা বলা আছে, তারা এমনভাবে ভাববে যে শূন্য থেকেই মানুষের শুরু হয়, নতুন যারা আসবে, তাদেরকে সুযোগ দিতে হবে আমাদের। তাদের একাডেমিক ফলাফলের চেয়েও তার সাংগঠনিক নৈতিকতা, সময় ব্যবস্থাপনা, ডিভোশন, কাজ শেখার ও কাজ করার আগ্রহ, নতুনদের মধ্যে এসব গুণ যদি আমরা ইন্টারভিউ স্টেজে দেখি, পাশাপাশি তার কর্মকুশতাসহ অন্যান্ন বিষয় আমাদেরকে আকৃষ্ট করে যে, তার মধ্যে আসলে ফিউচার লিডার হিসেবে গ্রো করার মতো একটি স্বপ্ন আছে। এসব গুণাবলীকে আমরা সবার আগে বিবেচনায় রাখি।

সুপার স্টার গ্রুপের দুই যুগ
এসএসজি’র দুই যুগ পার হয়েছে। গ্রুপটি প্রাথমিক উঠতি পর্যায় থেকে পরিণত একটা অর্গানাইজেশনের দিকে যাচ্ছে। ম্যাচিউরিটির একটা পর্যায় সে পার করছে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে আমাদের যাত্রা লাইট দিয়ে শুরু হলেও ইলেক্ট্রিক্যাল এক্সেসরিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রো -প্রত্যেকটা জায়গায় কিন্তু আমরা একটা লেভেলে ফোকাস করছি যে, এখান থেকে ব্যবসা আরো বেশি বড় করা যাবে কিভাবে। চলমান এই প্রক্রিয়ায় আগামী দিনগুলোয় যেহেতু আলো নিয়েই আমাদের কাজ, তাই লাইটিং ব্যবসায় আমরা বাংলাদেশে নিজেদেরকে একটু আলাদাভাবেই দেখতে চাই। ইলেক্ট্রিক্যাল এক্সেসরিজ ও ইক্যুইপমেন্টে আমরা বাংলাদেশের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারার হিসেবে নিজেদের দেখতে চাই। আমরা প্রকৌশল ব্যবসা, পাওয়ার সেক্টর, বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিসিটি এক্সপানশনের যে বড় সুযোগ আছে, নিজেদের আমরা সেখানেও দেখতে চাই। গ্লোবাল এনার্জি বিজনেসে আমরা নিজেদের বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সারিতে দেখতে চাই। এগ্রো বিজনেসে আমরা বড় সুযোগ দেখছি আর এখানেও আমরা নিজেদের প্রথম সারিতে দেখতে চাই। অর্থাৎ, আমি বলব, ‘বিজনেস ইজ অ্যা জার্নি অব সাকসেস’। সাকসেসটা ঠিক কোথাও কোনও একটা জায়গায় এভাবে মাইলস্টোন করা নেই যে, এই জায়গায় এসে আমি আসলে টার্ন আউট করবো। কাজেই চলমান প্রক্রিয়ায় রানিং বিজনেস যেগুলো আছে, এগুলো প্রত্যেকটাকেই একটা লেভেলে নেয়ার জন্য সবাই এখানে যারা আছে সমসাময়িক, আমাদের সঙ্গের প্রফেশনালসহ আমরা সবাই বদ্ধ পরিকর। আমাদের ব্যবসার সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। শুধু তাই না, আমাদের সাথে যে বিজনেস পার্টনার আছে, প্রায় এক হাজারের এর মতো এবং আমাদের সাথে রিটেইল লেভেলের প্রায় এক লক্ষ আউটলেটের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। অর্থাৎ এটা কিন্তু আসলে এখন আর এসএসজির একার কিছু নয়। কাজেই এই জার্নিটা, এই হাউজটা আসলে আমি মনে করি যে, এখানে আমাদের সকলের সহযোগিতা, সকলের ভালবাসায় আজ আমরা এখানে।

এক হাজার ব্যবসায়িক অংশীদার, ব্যাপারটা আসলে কী
আমি যদি বিষয়টি এভাবে পরিষ্কার করি যে, এটা আমাদের ব্যবসা, আমরা যেমন প্রোডাক্ট তৈরি করি, আমরা আবার প্রোডাক্ট বিক্রিও করি, বিতরণও করি। আমাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য সারা বাংলাদেশে লাইটিং এক্সেসরিজ ও ফ্যানের জন্য প্রায় এক হাজারের মতো ডিস্ট্রিবিউটর, তাদেরকেই আমরা ব্যবচসার অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি। তাদের মাধ্যমে প্রোডাক্টটা আমরা রিটেইল লেভেলে ডিস্ট্রিবিউট করি। পার্টনার হিসেবে তারা হয়তো এখানে অর্থ্যাৎ এসএসজি তে কোনও শেয়ার ইনভেস্ট করেনি, কিন্তু আমরা তাদের পার্টনার হিসেবে ট্রিট করি, যেন তারা এ অর্গানাইজেশনের একটা পার্ট। এলাকায় এই অর্গানাইজেশনের উনিই হচ্ছেন গার্জিয়ান। উনিই আমাদের প্রোডাক্টের জন্য ইনভেস্ট করছেন। উনি এলাকায় এই প্রোডাক্টকে সার্ভ করছেন। শুধু তাই না, একজন পরিবেশক, একজন রিটেইল ভ্যালুড কাস্টমারকেও আমরা আমাদের পার্টনার বলছি। আমরা মনে করি, এসএসজি’র সঙ্গে যারা সরাসরি কিংবা অপ্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত, তারা সবাই এই কোম্পানির অংশ।

মো. হারুন-অর রশীদ
ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর
সুপার স্টার গ্রুপ

আজকের বাজার: আরআর/ ১৬ আগস্ট ২০১৭