সরকারি কর্মকর্তাদের ২৮৮টি ফ্ল্যাট চূড়ান্ত

নগরীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা নিরসনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নানা ধরনের পর্যালোচনা শেষে ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর আগে কয়েকধাপে গণপূর্ত অধিদফতর ও পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যে বৈঠক হয়। এর পরেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ১৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তেজগাঁও স্টাফ কোয়ার্টারে ৩ দশমিক ০৬ একর জমির উপরে ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে এখানে একটি একতলা এবং কয়েকটি পাকা ও সেমিপাকা টিনশেড রয়েছে। সবগুলো স্থাপনাই ৭০ বছর আগের তৈরি। এই ভবনগুলোতে বর্তমানে গণপূর্ত অফিদফতরের কর্মরত চাকরিজীবীদের প্রায় ১৫০ জন পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করতে ছয়টি ১৩তলা ভবনে ফ্ল্যাটগুলো নির্মিত হবে।
এই স্থানে ১৫০টি পরিবার বসবাস করছেন তাদের জন্যও আবাসন ব্যবস্থা থাকছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচটি ১৩তলা ভবনে ৮০০ বর্গফুটের ২৪০টি ফ্ল্যাট থাকবে। অন্যদিকে একটি ১৩তলা ভবনে ৬৫০ বর্গফুটের ৪৮টি ফ্ল্যাট থাকবে। আবাসিক এলাকায় রেস্ট হাউজ, ডরমেটরি ও গণপূর্তের বিভাগীয় রেস্ট হাউজের জন্য থাকছে আলাদা একটা ছয় তলা ভবন।
এর পাশাপাশি আরও থাকছে দুই হাজার বর্গফুটের একটি কমিউনিটি হল, ৬৭৫ মিটারের কম্পাউন্ড ড্রেন, ছয়টি যানবাহন, তিনটি সাব-স্টেশন ও ১৯টি লিফট। যাতে করে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
ফলে উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে আরও উন্নত সেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। চলতি সময় থেকে জুন ২০২০ মেয়াদে ঢাকার তেজগাঁওয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবনে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের (ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ উইং-১) উপ-প্রধান রবীন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, নগরীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সংকট প্রকট। একই অবস্থা তেজগাঁও স্টাফ কোয়ার্টারে। এই সমস্যা নিরসেন ২৮৮টি সরকারি আবাসন পরিদফতরের তথ্যমতে ঢাকা মহানগরীতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাত্র ৮ শতাংশ আবাসন সুবিধা রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনেই উদ্যোগ।
ফ্ল্যাটের মধ্যে থাকবে ১টি করে কমন বাথরুম, কিচেন এবং ২টি করে বেডরুম ও বারান্দা। প্রতিটি ভবনে লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থাসহ বিদ্যুতের জন্য আলাদা জেনারেটর এবং সাব স্টেশন ব্যবস্থা থাকবে। ফ্ল্যাটে ঘরের মেঝের পাশাপাশি রান্নাঘর ও বাথরুমের দেয়ালে টাইলস ছাড়াও রান্নাঘর-কিচেন সেলফ রয়েছে। বাথরুমে ওয়াশ বেসিন, শাওয়ার, তোয়ালে রাখার বিশেষ স্থানসহ আয়না রাখারও সুবিধা রয়েছে। ভবনগুলোর মাঝখানে প্রশস্ত রাস্তাও থাকছে।
কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, মসজিদ, খেলার মাঠ, প্রাতভ্রমণের জন্য পার্ক নির্মাণ করা হবে। প্রতিটা ফ্ল্যাটের সঙ্গে থাকবে রাস্তা, বিদ্যুৎ, ড্রেন ও পানি সরবরাহ লাইন। প্রকল্পে পাম্প হাউস, ইলেক্ট্রিক সাব স্টেশনও থাকছে।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭