সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের নীতিগত অনুমোদন নেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকরি চাকরিজীবীরা যদি মাদকাসক্ত হন তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন আমরা চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপ টেস্ট বাস্তবায়ন করছি।

তিনি বলেন, কাউকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় অবশ্যই ডোপ টেস্ট দিয়ে আসতে হবে। চাকরি প্রার্থীর রক্তে যদি মাদকের আলামত পাওয়া যায় তাহলে তার আবেদন হয়তো বাতিল করে দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য ডোপ টেস্ট প্রযোজ্য হবে। ‘এ ধরনের একটি অনুশাসনের ফাইলে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এটা এখন বাস্তবায়ন হবে পর্যায়ক্রমে।’

মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান খান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের সাথে প্রতিবারই আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটির সরকার প্রধানের সাথেও আমি আলোচনা করেছি। আমাদের সাথে তারা অনেক কথাই বলেন কিন্তু কোনো কথাই কার্যকর হয় না।’

তবে ভারতের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেনসিডিলের সংখ্যা এখন অনেক কমে আসছে। আগে ভারত থেকে যে পরিমাণ ফেনসিডিল আসত এখন তার ৫৯ ভাগও আসে না।

আসাদুজ্জামান খান জানান, ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে। রোহিঙ্গারা এ মাদকের সরবরাহকারী। তারা জীবনের ভয়কে উপেক্ষা করে এ অবৈধ ব্যবসা করছে।

সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো এবং কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সীমান্তের কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার ছাড়া যাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী দুটি হেলিকপ্টার কেনার অনুমতি দিয়েছেন। এ দুটি হেলিকপ্টার আসছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব যাতে সীমান্ত দিয়ে অবাধে মাদক না আসে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে হত্যা করে না। বাহিনীর কাছে তালিকা থাকে। তারা যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন সময় অভিযান বা শনাক্তে কাজ করেন। তখন কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করলেই এমন ঘটনা (বন্দুকযুদ্ধ) ঘটে।’

মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা, হেরোইন, কোকেন, আফিম, গাজা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করে। সেই সাথে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জনের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা করা হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে বুধবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হবে।

আজকের বাজার/এমএইচ