সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে

দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত নয়, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সমমনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চার গুচ্ছে ভাগ করে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। সাত কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি, ১১ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলে একটি, তিন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি এবং ৯ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি গুচ্ছ হবে। তিন বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় কোন গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে তা তারা নিজেরাই ঠিক করবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বুধবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ নতুন ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির কথা উপস্থাপন করেন।

ইউজিসি আয়োজিত এ সভায় ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি এবং ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন না। সভা শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের লজিস্টিক সহযোগিতা ছাড়া কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নেয়া অসম্ভব। ফলে নতুন করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নীতিগতভাবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে একমত হয়েছেন। প্রফেসর শহীদুল্লাহ বলেন, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আফরোজার নেতৃত্বে কারিগরি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। সেই সাথে কমিটি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে কাজ করবে।

‘আমাদের প্রত্যাশা সবাই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে তাদের স্বাগত জানানো হবে,’ যোগ করেন তিনি। এ সময় প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, ‘ইউজিসি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। আশা করা যায় ইউজিসির এ সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমবে এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।’ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে গত ২৩ জানুয়ারি ইউজিসি সিদ্ধান্ত নেয় যে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সারা দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন পদ্ধতিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হবে। কিন্তু এ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে একে একে সরে যায় দেশের প্রধান পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। তারা আগের মতোই নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান