সরকার ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতির স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সরকার কী ভাবছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। একটি সার্বভৌম দেশ, একটি স্বাধীন দেশ। ভারতের পার্লামেন্টে যে আইন পাশ হয়েছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে।’
‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ভারতের হাই কমিশনারের মাধ্যমে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। এটা আমার বলার বিষয় নয়।’
ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হোক সেটি সরকার চায় না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দ্বি পাক্ষিক সম্পর্ক ইতিবাচক। এই সম্পর্কের কোনো টানাপোড়ন সৃষ্টি হোক, এটা আমরা চাই না।’
‘যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমরা পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। ভারতের সঙ্গে আমাদের আলাপের সুযোগ আছে। কাজেই আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পারব’, জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দল, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও বাম ফ্রন্টের নেতাসহ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যে সেকল দল গণভবনে গিয়েছিল, সবাইকে আমরা দাওয়াত দেব, আমন্ত্রণ জানাব।’
‘তবে এবার আমরা বাইরে থেকে কাউকে আমন্ত্রণ করছি না। কারণ আমাদের ফোকাস হচ্ছে মুজিব বর্ষ। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালায় বিদেশিদের আমন্ত্রণ করব। মুল্যবান বক্তব্য দিতে অনুরোধ করব’, যোগ করেন তিনি।
আজরেক বাজার/এমএইচ
