সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএফইউজে ও ডিইউজের

ঢাকার নবাবগঞ্জে হোটেলে অবস্থানরত যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে যৌথ বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এ ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর এ ধরণের হামলা সাংবাদিক সমাজকেই আতঙ্কিত করে। সাংবাদিকরা দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতন ও হত্যাকান্ডে শিকার হতে হয়। যেটা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর অবসান হওয়া জরুরি এবং এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।

বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় ১০ জন সাংবাদিক আহত হওয়া এবং ১৮টি গাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘসময় ধরে চলা সন্ত্রাসী হামলার সময় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকাও সন্দেহজনক। পুলিশ এ ধরণের ঘটনার সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বদলে নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ সাংবাদিক সমাজসহ জনগনের কাম্য নয়। পুলিশের কাজ হলো শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেখানে পুলিশের স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোন রিসিভ না করা মানে সন্ত্রাসীদের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা করা। এটা কখনোই রাষ্ট্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।

নেতারা অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী। তাকে বিব্রত ও বিতর্কিত করার জন্য কোনো মহল এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা সেটিও পর্যালোচনা করা দরকার।

এছাড়া অপর এক বিবৃতিতে সংগঠন দুটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সাংবাদিক নীতিমালা জারি করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ