সাইকেল চালিয়ে ত্রাণ ও হ্যান্ড সানিটেশন এবং লিফটলেট পৌচ্ছে দিচ্ছেন, বিডি ক্লিক

করোনাভাইরাসের কারনে সারাবিশ্বই অসহনীয় দুর্ভোগে সময় পার করছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনের মধ্যে খাবার সংকট দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে সকলের কাছেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন । তাই সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুববুস। দুর্যোগ দুঃসময়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন সমাজের “নিম্ন-মধ্যবিত্ত” শ্রেণির পরিবারগুলো। লোকলজ্জা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় তারা না পারেন সরকারি সাহায্য চাইতে, না পারেন বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা মানুষের কাছে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে। ফলে, এই সময়ে তারা খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। সেই সব পরিবার কে খুঁজে নিয়ে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারদের মাঝে একমাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাইকেল চালিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য দ্রব্যে পৌচ্ছ দিচ্ছেন। পাশাপাশি নিজেদের তৈরী দুই শত হ্যান্ড সানিটেশন স্প্রে সহ বিতরণ করা হয়।

ব্যবহার শেষে তারা নিজেরা যেন স্বল্প সময় ও নামমাএ স্বল্প মূল্যে হ্যান্ড সানিটেশন তৈরী করতে পারেন সে বিষয় প্রশিক্ষণ ও সচেতন নাগরিক তৈরীর লিফলেট বিতরণ করেন ও একাজে সহায়তার জন্য পরিষদের দশজনের একটি ভলেন্টিয়ার টিম তৈরি করা হয়। । পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুববুস বলেন এ সময় আমাদের ঘরে থাকার কথা, কিন্তু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের ঘরে থাকা সম্ভব নয়, নিজেকে নিরাপদ নিয়ন্ত্রণ রেখে একে অনের জীবন রক্ষার্থে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মানবিক কাজে সম্পৃক্ত হয়েছি।৯ম,সাইকেল লেন দিবসকে সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনান ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সম্প্রতি দেশের সকল নাগরিকদের সঙ্গনিরোধ অর্থাৎ(হোম কোয়ারেন্টিনে) থাকার সুবিধার্তে জনসম্মুখএড়িয়ে সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণার পাশাপাশি আত্মমানবতার সেবায় গত ২৪ মার্চ২০২০ স্যানিটাইজার ফ্রী বিতরণ কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ লিফটলেট বিতরণ করে আসচ্ছি। এ কর্মসূচি মাস ব্যাপী চলবে। এ যাত্রা শেষ হয়েও শেষ করা যাচ্ছে না, মানবিক দায়িত্ববোধ আমাদের যেমন টেনে নিয়ে আসে একজন কে দিতে গিয়ে আরেক অসহায় সংখ্যা যোগ হয়। কিছু সহজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব।বিশ্বে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে, এ মিছিলে যোগ হচ্ছে, প্রিয় স্বজনের অবচেতন প্রাণ ও বেঁচে থাকার জন্য যোগ হচ্ছে ত্রাণ,কফিন প্রস্তুতকারক কফিন উতপাদন করে যেমন কুল পাচ্ছে না তেমনি আমাদের দেশে ত্রাণ বিতরণে সবাই কে এগিয়ে আসার আহবান। আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পেরেছি সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দেশের বিত্তবান সাইকেলিস্টরা যার যার জায়গা থেকে জাকাত ও কোরবানির মত সাহায্যে এগিয়ে আসলে আমি মনে করি অসহায়ের সংখ্যাটা রোধ করা সম্ভব। দেশে সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী,সংবাদমাধ্যম কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, মহতী সেবাপ্রদানের জন্য শ্রদ্ধায় স্মরণী। অধিক সংখ্যক মানুষ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলছে। কিছু মানুষ অবশ্য স্বাস্থ্যবিধি,সরকারি বিধি নিষেধ, সামাজিক দূরত্ব কোনকিছুরই তোয়াক্কা করছে না। এসব মানুষকে সচেতন করার জন্য পাড়া-মহল্লায় সাংগঠনিক নিজ উদ্যোগে আরো বেশি শক্তি শালি ভলেন্টিয়ার তৈরি করা জরুরী।