সাধারণ ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালুতে বিএসইসির সম্মতি

সরকারের সাধারণ ছুটি বাতিলের পর পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর বিষয়েও সম্মতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নবগঠিত বিএসইসির প্রথম সভায় বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে লেনদেন চালু করা হবে, সে বিষয়ে কোনো দিনক্ষণ বেঁধে দেয়নি বিএসইসি। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত–উল–ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চালুর বিষয়ে অনাপত্তিপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে লেনদেন চালুর বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। লেনদেন কবে থেকে চালু হবে, তা জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইসি) সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটি ৩১ মে থেকে লেনদেন চালুর করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে অবহিত করা হবে।

এ ব্যাপারে ডিএসইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক বলেন, বিএসইসির নির্দেশনা পাওয়ার পর লেনদেন চালুর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আশা করছি, আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হবে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর তার সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই হিসেবে পুঁজিবাজারে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ২৫ মার্চ। এর পর দুই মাসেরও বেশি সময় লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে লেনদেন চালুর দাবি জানানো হয়।

দুই মাসের লেনদেন বন্ধ ও সাধারণ ছুটির মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায়ও বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। বাজার বন্ধের মধ্যেই বিদায় নেন বিএসইসির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এম খাইরুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বে নতুনভাবে গঠিত হয় বিএসইসি। নবগঠিত কমিশনের প্রথম সভাতেই বৃহস্পতিবার লেনদেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।