সাপের কামড়ে করণীয়

এখন বর্ষাকাল, চারপাশে বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ, দেশের বিভিন্ন এলাকা বণ্যায় প্লাবিত। এমন সময় অন্যান্য সমস্যার সাথে সাপের উপদ্রব বিশেষ ভাবে লক্ষ করা যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ সময় সাপের কামড়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করে। যাদের অনেকেই সাপের কামরের সঠিক চিকিৎসা জানে না বা ঐ এলাকায় চিকিৎসা সেবার সুবিধা না থাকায় অনেকেই অপচিকিৎসার উপর নির্ভর করে। ফলে মৃত্যুর হার বেড়ে যায় অনেকগুন।

সাপের কামড়ে অনেকেই যে ভয়ে মৃত্যু বরণ করে তা অনেকেরই জানা। কিন্ত সাপে কামরালে ভয় পাওয়া যাবে না। সাহসের সাথে পরিস্তিথি মোকাবেলা করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এর সাথে চিকিৎসার সঠিক পদক্ষেপগুলি পালন করা জরুরী। এ সময় সকল কু-সংষ্কার থেকে নিজেদের দুরে রাখতে হবে। না হলে ব্যাপারটা আরো জটিল আকার ধারণ করবে। এ ব্যাপারে সর্বভারতীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাপে কামরালে নিচের পাঁচটি পদক্ষেপ কখনই করা উচিৎ হবে না।

০১.সাপে কামরানোর স্থানে বা আশপাশে কখনই কেটে দেয়া বা চিড়ে দেয়া যাবে না। এতে করে উল্টো সাপের বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব গিয়ে পরে মস্তিষ্কে। ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

০২.সাপে কামরানো ব্যাক্তিকে কখনই কাত করে শোয়ানো যাবে না। সব সময় সোজা করে সোয়ান। ঠিক যেভাবে স্ট্রেচারে সোয়ানো হয়।

০৩.যে যায়গায় কামড় দিয়েছে এর আশেপাশে, উপরে বা নিচে কোথাও কিছু দিয়ে বাধা যাবে না। এর ফলে ধমনী এবং শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

০৪.এ সময় কাউকে কোন ব্যাথানাসক ওষধ খাওয়ানো যাবে না । যদি খাওয়ানো হয় তা হলে আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রকৃত অবস্থা বোঝা কঠিন হয়ে যাবে। এমন কি আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে।

০৫.আক্রান্তকে বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না, এমন কি হাটাচলা করতে দেয়া যাবে না। এর ফলে মাংসপেশিতে টান পড়ে সাপের বিষ দ্রুত শরিরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কোন রকম টোটকা বা কুসংস্কার নয়, সাপে কামড়ালে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে কে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। দেখা যায় সাপে কামড়ানোর পরে ভয় পেয়ে, সনাতনি টোটকা পদ্ধতির প্রয়োগ করতে গিয়ে সময় ক্ষেপনের ফলেই মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সুত্র : এবেলা

আজকের বাজার: সালি/আরঅার/ ০৪ জুলাই ২০১৭