সামরিক অস্ত্রে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সামরিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি সমরাস্ত্র হচ্ছে চীনের। মিয়ানমারের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ফাঁদে আটকা পড়ার আতঙ্কের উপর ভিত্তি করে বর্তমানের কৌশল নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সমর্থন পাচ্ছে মিয়ানমার। এই পটভূমিতে রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম স্পূটনিক এর বিশ্লেষণ করেছে।

স্পূটনিক বলছে, বাংলাদেশ যাতে ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারে সেজন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে নয়াদিল্লি। ২০১৭ সালের ৮ই এপ্রিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিবলে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঋণের ঐ টাকায় সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। পরে সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঋণের টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। স্পূটনিক বলছে, এই অঞ্চলের সমুদ্রে চীনের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন।

ভারতের উদ্বেগের মধ্যে দুই দেশের সামরিক চুক্তির একটা কৌশলগত মূল্য রয়েছে। এর অধীনে যুদ্ধ জাহাজ তৈরিতে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি স্থানান্তর করতে পারবে ভারত। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারতের রাষ্ট্র মালিকানাধীন গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স নিবিড়ভাবে কাজ করবে বাংলাদেশের খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক অংশীদারিত্বের আলোকে ভারত সরকারও কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। গত ৮ বছরে চীন থেকে বাংলাদেশ ১৮০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনেছে।

রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির অধীনে স্বল্প সুদের ঋণের শর্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র ভারত থেকে আমদানি করার জন্যই এই অর্থ অনুমোদন করা হবে। রিভার্জ ব্যাংক বলেছে, চুক্তির অধীনে এক্সিম ব্যাংক মোট যে পরিমাণ ঋণ দিতে চেয়েছে তার শতকরা ৭৫ ভাগই সরবরাহ করবে ভারতের বিক্রেতারা।খবর ভিওএ।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান