সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন খাদ্য সহায়তার ঘোষণা

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকা সময়ে উপকূলীয় চার লাখ ১৪ হাজার ৮৮৪টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে মৎস্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানান, উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার চার লাখ ১৪ হাজার ৮৮৪টি জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতীত বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় এবারই প্রথম নিষিদ্ধকালীন ৬৫ দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় পরিবার প্রতি মাসিক ৪০ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

ঈদের আগেই এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি। খবর ইউএনবি।

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আট মাস জাটকা নিধন এবং ২২ দিন মা-ইলিশ সংরক্ষণের মতো ৬৫ দিনের জন্যও ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার ফলে জেলে পরিবারের খাদ্যসংস্থান হওয়ায় তারা সামুদ্রিক ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ি আহরণ থেকে বিরত থাকবে এবং ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ির নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোট ৪২.৭৭ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার মাধ্যমেই দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উৎপাদনের মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য খাতের অবদান ৬.৫৬ লাখ মেট্রিক টন, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৫.৩৩ শতাংশ।

মাছের তিনটি নিষিদ্ধ সময়ের জন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবারই প্রথম ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত একটানা ৬৫দিন পর্যন্ত সকলপ্রকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক মৎস্যযান কর্তৃক মৎস্য ও ক্রাস্টিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিশ ইত্যাদি) আহরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসময় সামদ্রিক মাছসমূহের প্রজনকাল হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিসহ মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

আজকের বাজার/এমএইচ