সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালন করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, এদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। পৃথিবী থেকে অশুভ শক্তি দমন, কল্যাণ, ন্যায় ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই তাদের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।

এই মহাপুণ্য তিথিতে কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত কোল আলো করে এসেছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

আজকের দিনে অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার ­­জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছো জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে সমস্ত ধর্মের মানুষেরা নির্দ্বিধায় তাদের নিজস্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ককে আরও সংহত করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশা করেন।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।

দিনটি উদ্‌যাপন করতে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

এছাড়াও দিনটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশন শ্রীকৃষ্ণের ঘটনাবহুল জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।