সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণি এগিয়ে আসায় প্রতিকূল আবহাওয়ার শঙ্কায় সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সকল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলো উত্তাল হতে শুরু করেছে। সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সর্বশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকেই বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে।

এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাব মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে ঘূর্ণিঝড়ের সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এরই মধ্যে সদরঘাট, বরিশাল, বরগুনা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়েছে। লঞ্চগুলোকে নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে সব ধরনের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফণি আজ সকাল ৯টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, সাধারণত নদীবন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলে ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে উপকূলে বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ