সিনহার বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’: আইনমন্ত্রী

পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি ‍সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে উঠা ১১টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিষয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

২০ নভেম্বর সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে কানাডীয় হাই কমিশনার বিনোইট প্রিফন্টেইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এক মাসের ছুটি নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়াসহ তিন দেশ সফরে যান সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরদিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, বিদেশে অর্থপাচার, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি ‘গুরুতর’ অভিযোগ উঠার কথা জানান হয়। আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি বঙ্গভবনে সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি তাদেরকে এসব অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানান এবং ওই পাঁচ বিচারপতি সিনহার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসেন।

ওই আলোচনায় অভিযোগের বিষয়ে সিনহা কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে না পারার পর পাঁচ বিচারপতি তার সঙ্গে বসে বিচারকাজ না করার কথা জানান বলেও জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিতে।

১০ নভেম্বর সিনহার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না এসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে কানাডায় চলে যান।

সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী জানান, দুদক এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। তবে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

দুদকের একজন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতির পদে থাকা একজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর আইনি জটিলতা আছে বলে তারা মনে করছেন।

তবে সিনহা পদত্যাগ করায় এই জটিলতা এখন নেই। এই অবস্থায় তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের কী হবে- এমন প্রশ্ন ছিল আইনমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন,আইন তার নিজের গতিতে চলবে। অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে যথযযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নতুন প্রধান বিচারপতি কবে নিয়োগ হবে-এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। তিনি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। ফলে তিনিই বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।

আইনমন্ত্রী জানান, কানাডায় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি নুর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কানাডীয় সরকার। সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ব্যাপারে সরকার সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২০ নভেম্বর ২০১৭