সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বিদেশী জিহাদিদের অপসারণ চায় যুক্তরাষ্ট্র

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বিদেশী জিহাদিদের অপসারণ চায়। এদিকে তারা ফিরতে চাওয়া এক মার্কিন নারী জিহাদিকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট এর পক্ষে যুদ্ধরত নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে ইউরোপীয় শক্তিধর দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে একজন মার্কিন জিহাদীকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি জটিল বলেও স্বীকার করেছে দেশটি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
২৪ বছর বয়সী হোদা মুতানা নামের এক তরুণী আলবামা থেকে সিরিয়া গেছেন। তিনি চরমপন্থীদের মধ্যে অনলাইনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
সোমবার গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অনলাইনে তাকে ‘মগজধোলাই’ করা হয়। আইএস-এ যোগদানের জন্য তিনি গভীরভাবে অনুতপ্ত।
মুতানার মামলাটি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র রবার্ট প্যালাডিনো বলেন, সিরিয়ায় আটক মার্কিন নাগরিকের অবস্থানটি অত্যন্ত জটিল।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই বিষয়গুলো আরো ভালভাবে বুঝার চেষ্টা করছি।
পালাডিনো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইএস এর মার্কিন যোদ্ধাদের সাথে অন্যান্য দেশের যোদ্ধাদের অবস্থানের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘এই সব যোদ্ধা বৈশ্বিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মুতানার আইনজীবী হাসান শিবলী মার্কিন কর্মকর্তারা মুতানার সাথে এখনো দেখা না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা বাস্তবিকই একটা সমস্যা যে যেখানে নিউইয়ক টাইমস, গার্ডিয়ান ও এবিসি নিউজ তার সাথে দেখা করে তার সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছে, সেখানে সরকার এখনো সেটা করতে পারেনি।’
মুতানা ২০১৪ সালে পরিবারের কাছ থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেট এ যোগ দেয়। তার তিনবার বিয়ে হয়েছে এবং একটি ছেলে আছে।
গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমেরিকা আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিচ্ছে। আমি দেশে ফিরতে চাই। আমি আর কখনো মধ্যপ্রাচ্যে আসতে চাই না।’