সিলেট ও উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে

আগামী ২৪ ঘন্টায় বগুড়া, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তবে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি এবং টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ জানায়, যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি কমছে।
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দেশের ৪৭টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। ৪৫টি স্টেশনে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২২টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জানানো হয়Ñ সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, সোমেশ্বরী, তিতাস, মেঘনা, ধরলা, ঘাগট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, আত্রাই, ধলেশ্বরী ও পদ্মা নদীর পানি ৪৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১৫৮ সেন্টিমিটার, ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৪৭ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ১২৬ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে ১২১ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধলেশ্বরী নদী এলাশিয়া পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার, ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার, ঘাগট নদী গাইবান্ধা পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদ নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার ও চিলমারি পয়েন্টে ১১৩ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, সিলেটে ০৪ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী শেরপুর-সিলেট পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, পুরাতন সুরমা দিরাই পয়েন্টে ০৫ সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরী নদী কলমাকান্দা পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, তিতাস নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদী চাঁদপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদী বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার এবং পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার ও ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ জামালপুর এবং পদ্মা নদী সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় ৬১ মিলিমিটার এবং কাউনিয়ায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বন্যা পূনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম গঠন এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রমের তদারকি চলছে।