সীতাকুণ্ডের কয়েকটি গ্রাম ‘স্বেচ্ছায় লকডাউন’ করল এলাকাবাসী

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী, সোনাইছড়ি, ছলিমপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ‘স্বেচ্ছায় লকডাউন’ করে দিয়েছে এলাকার সচেতন জনগণ।

এর মধ্যে রয়েছে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমাম নগর ৮নং ওয়ার্ড, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড, ছলিমপুর ইউনিয়নের ওভারব্রীজ, ফকিরহাট, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের গামারীতলা, দক্ষিণ সোনাইছড়ির বোর্ড অফিস রোড়, শীতলপুর, বগুলাবাজার। যদিও এসব এলাকার কারও শরীরে এখনও করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি। তবুও আগাম সতর্কতা হিসেবে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

তারা জানান, বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাই নিজেদের রক্ষার স্বার্থে আমরা আমাদের গ্রাম দুটি লকডাউন করে দিয়েছি। ফলে এই গ্রাম দুটিতে বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারছে না। আর এখানকার বাসিন্দারাও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে যাচ্ছেন না।

সোমবার ওই গ্রামের সচেতন যুবকরা গ্রামের প্রবেশপথে বাঁশের প্রতিবন্ধকতা ও রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে সেখানে নোটিস ঝুলিয়ে দেন। তাতে লেখা আছে ‘প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি’ ছাড়া বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষেধ।

ইমামনগর গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আলমগীর হোসেন মাসুম জানান, ‘গ্রামের আড্ডা দেয়ার জন্য প্রতিদিন অনেক বহিরাগত যুবক এখানে আসে। তাদের এ বেপরোয়া চলাফেরায় গ্রামে করোনা ঝুঁকি এড়াতেই সচেতন গ্রামবাসী এ উদ্যোগ নিয়েছেন।’

ভাটিয়ারী ৪নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক জানান, ‘করোনা সতর্কতায় আমাদের গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশে ঠেকাতে গ্রামবাসী যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো উদ্যোগ। আর এটি দেখে অন্যরাও সচেতন ও উদ্বুদ্ধ হবেন।’

এ বিষয়ে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সচেতন গ্রামবাসী নিজেদেরকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। এছাড়া দেশে মোট ১২৩ জন করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে সরকার।

সূত্র – ইউএনবি