সুদানের সামরিক কর্তৃপক্ষ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যুগান্তকারি চুক্তি

সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক কর্তৃপক্ষ ও দেশটির চলমান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা শুক্রবার সরকার পরিচালনার নতুন কমিটি বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এই কমিটি নিয়ে তাদের মধ্যে বিতর্ক চলছিল। মাসের পর মাস ধরে চলা দেশটির রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ক্ষমতার ভাগাভাগির ক্ষেত্রে এই চুক্তি একটি বড় অগ্রগতি। খবর এএফপি’র।
সরকার পরিচালনার নতুন কমিটিকে একজন বেসামরিক নাগরিক না একজন সামরিক সদস্য নেতৃত্ব দেবেন সে বিষয়ে আলোচনার দু’দিন পর এ যুগান্তকারি চুক্তি হলো। এরআগে গত মে মাসে এ সংক্রান্ত আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল।
আফ্রিকান ইউনিয়ন মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মাদ আল-হাসেন লেবাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘উভয় পক্ষ তিন বছর বা এর কিছু বেশি মেয়াদে পালাক্রমে সামরিক ও বেসামরিক প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সুযোগ রেখে একটি পরিষদ গঠন বিষয়ে সম্মত হন।
দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে গত এপ্রিলে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা শাসক ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সুদানে চরম রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। ক্ষমতা দখল করা জেনারেলরা বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানানো বিক্ষোভকারীদেরকে বাধা দেয়ায় দেশটিতে এ রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়।
এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের উপ-প্রধান জেনারেল মোহাম্মাদ হামদান দাগালো বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক শক্তি এবং এই পরিবর্তনের অংশীদার সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কাউকে বাদ রাখা হয়নি।’
গত ৩ জুন রাজধানী খার্তুমে সেনা সদরদপ্তরের বাইরে অনেকদিন ধরে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোর পর উভয় পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সামরিক বাহিনীর ওই অভিযানে অনেক বিক্ষোভকারী নিহত ও কয়েকশ’ আহত হয়।
উল্লেখ্য, ইথিওপীয় ও আফ্রিকান ইউনিয়নের দূতের মধ্যস্থতায় তাদের মধ্যে বুধবার সর্বশেষ দফার আলোচনা শুরু হয়েছিল।