সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া শিপ বিল্ডিং শিল্প প্রতিষ্ঠা পাবে না

জাহাজনির্মাণ শিল্প আমাদের নতুন ও সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। দিনে দিনে এই শিল্প আরও বড় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও জাহাজনির্মাণ শিল্প অবস্থান বাড়াচ্ছে। বেশ কয়েকটি বিশ্বমানের শিপইয়ার্ড স্থাপিত হয়েছে দেশেই। আমাদের উদ্যোক্তারাও দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। সরকার ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। সব মিলিয়ে জাহাজনির্মাণ শিল্প আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। খান ব্রাদার্স গ্রুপ দেশের জাহাজনির্মাণ শিল্পের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান। এই শিল্প নিয়ে সরকারি নীতিমালা, অর্থায়ন কৌশল, দেশি ও বিদেশি বাজার সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আজকের বাজার ও এবি টিভির সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল কবির খান। তার কথার অনুলিখন তাঁর ভাষায় আজকের বাজারের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

প্রথমেই আমি দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে বলতে চাই। এই সময়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা বেশ ভালো। রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় আমরা আশা করছি ২০১৭ সালে আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াবে। এবং দেশের সার্বিক ব্যবসার পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের যতগুলো ব্যবসার উইং আছে, তার সবগুলোতেই আমরা ভালো করছি। আমাদের আরএমজি সেক্টর, আমাদের টেক্সটাইল, আমাদের লেদার সেক্টর, আমাদের শিপিং, চা, আমাদের ভোগ্যপণ্য সেক্টর, আমাদের শিপ বিল্ডিং এমনকি আমাদের বিশাল সম্ভাবনাময় আইটি সেক্টর প্রতিটা সেক্টরেই একটা পজিটিভ আকার যাচ্ছে।

আমাদের ভিশন হচ্ছে, ২০২১ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে চলে যাওয়া। এরই মধ্যে আমাদের যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার হচ্ছে, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে গভর্নমেন্ট যে ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামগুলো নিচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছার সম্ভাবনা দেখছি। আমাদের প্রাইভেট সেক্টরটাই ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে বড়। সরকারের যে অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা চলছে, যেমন পদ্মা সেতু, আমাদের নতুন পায়রাবন্দর হচ্ছে, চট্টগ্রাম পোর্টের যে পণ্যজট মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস করতে সময় বেশি লেগে যাচ্ছে; এসব ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে হয়ে গেলে আমাদের ব্যবসার টোটাল সিনারিও, আমাদের ফরেন ইনভেস্টমেন্টের যে পয়েন্টগুলো আছে, তার সব পয়েন্টেই আমরা সুবিধাজনক অবস্থায় যেতে পারব আশা করছি। ইনশাল্লাহ, ২০৩০ সালেই আমরা আরএমজি সেক্টর থেকে যে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় আশা করছি, সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। আদার্স যে ব্যবসা-বাণিজ্য, সব জায়গাতেই আমি যেহেতু পজিটিভ সাইন দেখছি, আমাদের শেয়ারবাজারের আকার, সব মিলিয়ে আমাদের সার্বিক ব্যবসার অবস্থায় ২০১৭ সালকে আমি ভালো বলব।

শিপ বিল্ডিং শিল্প নিয়ে ভাবনা

শিপ বিল্ডিং অত্যন্ত বড় একটি শিল্প। সারা পৃথিবীতেই এটি বড় শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য এই শিল্প গুরুত্বপূর্ণ। একসময় ইউরোপে শিপ বিল্ডিং শিল্পের ব্যাপকতা ছিল; তারপর জাপানে, জাপান থেকে কোরিয়া, কোরিয়ার পর চীন, চীন-সিঙ্গাপুর অঞ্চল থেকে এখন আমাদের দেশে। বাংলাদেশ যেহেতু নদীমাতৃক দেশ, তাই এখানে এই শিল্পের গ্রো করার সম্ভাবনা বেশি। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের শিপইয়ার্ড গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে খান ব্রাদার্স একটি উল্লেখযোগ্য শিপইয়ার্ড। এরই মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে ৩৫টি জাহাজ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতে পেরেছি। শিপ বিল্ডিং এত বড় হেভি একটা ইন্ডাস্ট্রি যে এটার অনেকগুলো কমপ্লায়েন্স রয়েছে। অনেকগুলো কমপ্লায়েন্স মেনে এই শিল্প গ্রো করতে হয়।

উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে নরওয়ে থেকে অনেক বড় একটি ফিশিং ট্রলারের অর্ডার পাওয়া গেছে। এটি এত বড় একটি শিল্প, এটার যে পয়েন্টগুলো আছে, আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম ওয়ার্কার সিঙ্গাপুরের শিপ বিল্ডিংয়ে কাজ করছে, ওই দেশের শিপ বিল্ডিং শিল্পের ৬০ পার্সেন্ট ওয়ার্কার আমাদের দেশের। আমাদের দেশের স্কিল কাজে লাগিয়ে যেকোনো ধরনের জাহাজ আমাদের দেশে তৈরি করা সম্ভব। আপনারা জানেন, এরই মধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ বানানো সম্ভব হয়েছে। এটি এত বড় একটি শিল্প যে এর সঙ্গে থাকা কমপ্লায়েন্স শিল্পগুলোকেও কাজে লাগানোর বড় সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের দেশে। যেহেতু আমাদের দেশটি নদীমাতৃক, সুতরাং জাহাজনির্মাণ শিল্পের ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের। দু-এক বছরের মধ্যে হয়তো হবে না, তবে আগামী চার বছরের মধ্যে এটি বড় শিল্প হয়ে উঠবে। এই শিল্পের স্ট্যাটেসটিক্যালি কার্ভ ওঠানামা করে, ২০১০ সাল থেকে এটি গ্লোবাল রিসেসনের কারণে একটু নিচের দিকে নেমে যায়। এ সময় গ্লোবাল শিপিং একটা মন্দার মধ্য দিয়ে গেছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে আমরা পজিটিভ উইন্ড দেখছি, আশা করি ২০১৭ সালে এর ধারাবাহিকতা থাকবে, বিদেশি অর্ডারও বাড়বে।

লাইটার জাহাজের দেশি বাজার
আরেকটি ইনফরমেশন আপনাকে দিই। যেহেতু আমরা উন্নয়নশীল দেশ হতে চলেছি এবং আমাদের ১৬ কোটি মানুষের খাবার সরবরাহ করতে হয়, আমাদের আমদানি-রপ্তানির আকারও বড়, ফলে আমাদের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ লাইটার ভ্যাসেলের বাজার তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটার ভ্যাসেলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের নির্ধারিত সময় সাত থেকে দশ দিন, আইএক্সের নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু লাইটার ভ্যাসেলের অভাবে আমরা সময়মতো পণ্য খালাস করতে পারছি না। সরকার নতুন যে রুলস রেগুলেশন করেছে, আইএক্সের নিয়ম অনুযায়ী আমরা এর সদস্য। এটা পরিপালন হলে দেখবেন নৌ দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে, আন্তর্জাতিক নিয়ম বা ইন্টারন্যাশনাল কমপ্লায়েন্সের কারণে ডাবল হোল, ডাবল বটম জাহাজ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ, একটি জাহাজের দুটি পার্ট থাকবে।

আমাদের দেশে এই সেক্টর অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে। দেশে অনেক জাহাজ তৈরি হচ্ছে। এই সেক্টরে অনেকগুলো পয়েন্ট কাজ করছে। আমাদের কোল ফায়ারিং বা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলছে। এখন এই কয়লা পরিবহনের জন্য আমাদের প্রচুর লাইটারিং জাহাজ লাগবে ডিপ সী থেকে কয়লা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে। এ ছাড়া ভোগ্যপণ্য পরিবহনের জন্য, ক্লিংকার বহনের জন্য আলাদা আলাদা লাইটার জাহাজের দরকার পড়বে। আরও আছে, আমরা যেহেতু নদীমাতৃক দেশ, তেল পরিবহনের জন্যও আমাদের অয়েল ট্যাঙ্কার লাগবে। বিপিসি, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোম্পানির তেল বাঘাবাড়ী বা অন্য পোর্টে সরবরাহ করতে ট্যাঙ্কার জাহাজ লাগবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আমরা একটু স্যাচুরেটেড অবস্থায় আছি, সরকারের সঙ্গে আমরা বসেছি। আলোচনা করছি। আমাদের ট্যাঙ্কারগুলোর বয়স ৪০ থেকে ৬০-৭০ বছরের বা তারও বেশি। অথচ আন্তর্জাতিক নিয়মে ৩০ বছরের বেশি বয়সী ট্যাঙ্কার চলাচলে নিষেধ আছে। এটা নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানে আসার চেষ্টা করছি। যেহেতু চট্টগ্রাম থেকে তেল ডিস্ট্রিবিউশন করতে হবে, বাঘাবাড়ী, নারায়ণঞ্জ, নরসিংদীসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, তো এগুলো পরিবহন করতে আমাদের উন্নতমানের ট্যাঙ্কার লাগবে।

 এখন কি এসব ট্যাঙ্কার বিদেশ থেকে আসে?

আগে আমরা বিদেশ থেকে জাহাজগুলো ইমপোর্ট করতাম, বেশি আসত জাপান থেকে। সুখবর হচ্ছে, এই জাহাজ এখন আমরা দেশেই উৎপাদন করতে পারি।

আমাদের দেশে ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটির আন্ডারে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬০টি ভ্যাসেল উৎপাদন হয়েছে। এখন এই জাহাজগুলো আমাদের পরিবহন বহরে যুক্ত হয়ে তেল পরিবহন করছে। আপনি জানতে চাইছেন, আমরা সাবমেরিন বানাতে পারি কি না।
আমাদের দেশ এখনো সাবমেরিন তৈরি করতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। ইতোমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ডে আমরা ছোট ছোট যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছি। তবে সরকারের সহায়তা থাকলে আমরা সাবমেরিনও বানাতে সক্ষম হব। এটাই হলো আমাদের টোটাল শিপ বিল্ডিংয়ের অবস্থান।

ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রসঙ্গ
২০১৬ সালে ভারত, শীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আরএসবি বা রিভার সি কন্ট্রাক্ট হয়েছে। যার মাধ্যমে এই এলাকার যত জাহাজ আছে বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার জাহাজগুলো সরাসরি আমাদের ইন ল্যান্ডে চলে আসবে। এর জন্য শিপ বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হয়েছে। আশা করছি, এর ফলে ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের নদীগুলোর নাব্যতা বেড়ে যাবে। ইন্ডিয়ার পশ্চিম বঙ্গের হলদিয়া পোর্ট থেকে আমাদের আশুগঞ্জ পোর্টে সরাসরি পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চাল, রড, সিমেন্টসহ অনেক পণ্য পরিবহন হচ্ছে জাহাজের মাধ্যমে।

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ
জাহাজ তৈরিতে নতুন নতুন নিয়ম-কানুন আসছে। নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে কোনো জাহাজ চলতে পারবে না। যেসব জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ছে, সেগুলো ভালো ডিজাইনে তৈরি না। অনেক সময় পুরোনো ডিজাইনের জাহাজ কপি করে বানানো হচ্ছে নতুন জাহাজ। এর ফলে দুর্ঘটনা হচ্ছে। তা ছাড়া, ঈদ বা এ ধরনের উৎসবের আগে-পরে জাহাজ দুর্ঘটনা হয়। এর মূল কারণ হচ্ছে, ১৫০০ যাত্রী ক্যাপাসিটির জাহাজে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে ২০০০। দুর্ঘটনার এটা একটা বড় কারণ। নেভাল একাডেমি যদি একটি জাহাজ তৈরির সময় ডিজাইনসহ মেজারমেন্ট ও তদারকির কাজটা করে, তবে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। আশার কথা হচ্ছে, ইতোমধ্যে আমাদের দেশে অনেকগুলো নেভাল ডিজাইন হাউস তৈরি হয়েছে। এরা অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করছে। ফলে দেশের উন্নতির সাথে সাথে উন্নত ডিজাইন ও উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ তৈরি হচ্ছে।

শিল্পের সমস্যা
গ্লোবাল শিপ বিল্ডিং বাজারের জন্য আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে অর্থ। একটি জাহাজ তৈরি করতে ১০-২০ মিলিয়ন ডলার ফান্ডের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে ব্যাংক থেকে টাকা নিতে হয়। কিন্তু জাপানে যেখানে ১-২ শতাংশ ইন্টারেস্টে লোন দিচ্ছে এই শিল্পের জন্য; অথচ আমাদের দেশে এখন ১০-১২ শতাংশ ইন্টারেস্ট দিতে হয়। এর আগে আরও বেশি দিতে হতো। আমাদের এখানে লেবার কস্ট অনেক কম, তারপরও আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। এই শিল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ ফান্ড তৈরি করার কথা ছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমাদের দেশে একটি শিপ বিল্ডিং প্রজেক্ট দাঁড় করাতে চাইলে ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আর বিনিয়োগ যদি দুই বছর ধরে স্থায়ী হয়, তবে এর সুদও অনেক বেড়ে যাবে। তখন এই সুদ ব্যবসায়ীদের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

পলিথিন নিষিদ্ধ সমাধান নয়
বিশ্বের সব দেশেই প্লাস্টিক রি-সাইকেল প্রসেস রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এ জিনিসগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে না। এ সকল বিষয়ে জনসচেতনা বাড়াতে হবে। এখন তো আমরাও পিছিয়ে নেই। আমাদের দেশের ইকোনোমি গ্রো করছে।  অনেক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে; তারা সেখান থেকে শিখে আসছে কীভাবে ম্যানেজমেন্টগুলো হচ্ছে। আমরা যদি সেগুলো চিন্তা করি। আমাদের সরকার যদি সুনির্দিষ্ট আইন করে দেয় তাহলে আর সমস্যা থাকে না। আমি মনে করি না যে- এটা বন্ধ করে এর সমাধান খোঁজা যাবে। পৃথিবীর কোনো সমস্যার সমাধানই বন্ধ করে দিয়ে হয় না। এখন কিন্তু পলিথিন আরও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সরকার বন্ধ করতে পারছে না। দই তিন মাস পর পর দেখা যায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অভিযান চালিয়ে ২০ কেজি ৫০ কেজি পলিথিন জব্দ করছে। এটাই কি পলিথিন বন্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট? অবশ্যই না।

মূল কথা হচ্ছে পিপি সেক্টর একটা ভালো সেক্টর। এটা এক্সটেনশন করা উচিত। একটা ইনফরমেশন দিয়ে রাখি-  এফআইবিসি নামে একটা প্রোডাক্ট আছে। জাম্বো ব্যাগ। এটি এক্সপোর্টের মাধ্যমে আমরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারি। যেহেতু আমাদের লেবার কসট অনেক কম। বর্তমানে চায়না, তুরস্ক ও ইন্ডিয়ায় এর ব্যাপকতা অনেক বেশি। আমরা চাচ্ছি এটি ইমপোর্ট করতে। তাহলে বছরে ১ বিলিয়ন বা ২ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারি।

তোফায়েল কবির খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খান ব্রাদার্স গ্রুপ