সেবা বাড়াতে রেলওয়ের বিশাল পরিকল্পনা

বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) রাজস্ব বাড়াতে সেবার মান বৃদ্ধি করতে একটি বড় পরিকল্পনা করেছে। রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে আজ এ খবর জানা গেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ি বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রী ও পণ্য উভয় পরিবহনের ক্ষেত্রে আরো ভালো সেবা নিশ্চিত করতে রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়াতে ৭শ’ যাত্রী কোচ, ৪০টি ব্রড ও ১৫০টি মিটার গেজ ইঞ্জিন এবং ১০৭৫টি ওয়াগন আমদানি করবে।

৭শ’ কোচের মধ্যে মিটার গেজ লাইনের জন্য ৬শ’ কোচ দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর অর্থায়নে এবং সাপ্লাইর্য়াস ক্রেডিটে আনা হবে। বাকি একশ’ ব্রডগেজ কোচ পদ্মা সেতু রেলওয়ে কানেক্টিভিটি প্রকল্পের অধিনে আনা হবে।

রেলমন্ত্রী এম মুজিবুল হক বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআরবি) রেলওয়ের সেবা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, প্রকল্পের অধিনে ৪৬টি ব্রড এবং মিটার গেজ রেল ইঞ্জিন, ৬৬৮ যাত্রিবাহী কোচ এবং ব্রডগেজ ও মিটার গেজ লাইনের জন্য ৪৬৬ ওয়াগন ক্রয় ও পুনর্বাসন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের নেটওয়ার্ক বাড়াতে বিআর ইতোমধ্যেই ১ হাজার ৯১ কিলোমিটার পুরাতন লাইন পুনর্বাসন এবং২৮৪ কিলোমিটার নতুন লাইন স্থাপন করেছে।

মন্ত্রী আরো জানান, রাজধানী ঢাকা এবং প্রধান বন্দর নগরী চট্রগ্রামের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন দ্রুত ও নিরাপদ নিশ্চিত করতে ২৪৯ কিলোমিটার রেলপথ সিঙ্গেল গেজ থেকে ডুয়াল গেজে রুপান্তর করা হয়েছে।

রেলমন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদকে জানান, কুমিল্লা লাকসাম হয়ে ঢাকা চট্রগ্রাম রুটে দ্রুত গতির ট্রেণ চলাচলের একটি মূল্যায়ন প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি সংসদকে আরো জানান, প্রস্তাবিত রেলপথটি দাউদকান্দি হয়ে কুমিল্ল গেলে ঢাকা চট্রগ্রামের মধ্যে বর্তমান দুরুত্ব ৩২১ কিলোমিটার থেকে ৯০ কিলোমিটার কমে যাবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত বছরে ঢাকা চট্রগাম রুটে ডাবল ট্রাক স্ট্যান্ডার্ড গেজ লাইন নির্মানে চীনা রেরওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এতে প্রকল্প ব্যায় ধারা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। প্রকল্প সূত্রে জানান যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে চীন থেকে পাওয়া ২৪ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকার প্রকল্প সহায়তায় একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

গত বছরে সরকার বাণিজ্যিক ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে ডুয়েল গেজ রেল লাইন নির্মাণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে তিনশত মিলিয়ন মাকির্ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এমআর/