সোনালি আশেঁর আর্থিক হিসাবে গরমিল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সোনালি আশঁ লিমিটেডের আর্থিক হিসাবে গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান । সমাপ্ত বছরের আর্থিক হিসাব পর্যবেক্ষন করে ভুল তথ্য ও নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছে নিরীক্ষক।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইচ্ছামতো ডেফার্ড ট্যাক্স গণনা, স্থায়ী সম্পদের উপর অবচয় চার্জ না ধরা, বাংলাদেশ হিসাবমান (বিএএস) ও শ্রমিক আইনভঙ্গ সহ নানা অনিয়ম করেছে। এভাবে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে, আবার একইভাবে অতিরিক্ত মুনাফা ও সম্পদ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের সাথেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিরীক্ষক। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যবেক্ষনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিএএস-৩৬ অনুযায়ি, স্থায়ী সম্পদ ইমপেয়ারমেন্ট করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা করে না। এর মাধ্যমেও প্রতি বছর সম্পদ ও মুনাফা বেশি দেখানো হচ্ছে।
এছাড়া, বিএএস-১২ অনুযায়ি, পূণ:মূল্যায়নজনিত কারনে বৃদ্ধি পাওয়া স্থায়ী সম্পদের উপরে ডেফার্ড টেক্স গণনা করতে হয়। যা সোনালি আশেঁর জন্য ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে কার্যকর হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা হিসাবের বাহিরে রেখেছে।
আবার, গ্রাহক সাইফুল এন্টারপাইজের কাছে প্রতিষ্ঠানটির ৭৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে । কিন্তু গ্রাহক টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় টাকা পাওয়া নিয়েও রয়েছে শংসয়। তাই সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি গঠন করার প্রয়োজন হলেও তা না করে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখানো হচ্ছে।

সোনালি আশঁ একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে লাভ বা ক্ষতির আর্থিক হিসাব দেখাতে হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তা করে নি।

শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ি, ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২ লাখ টাকার শ্রমিক ফান্ড গঠন করেছে। কিন্তু প্রতিবছর ফান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকদের মাঝে বন্টনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি। এমনকি ফান্ডের বাকি অংশ লাভজনক খাতে বিনিয়োগের বিধান থাকলেও তা করা হয়নি
সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির ২২৯.৪৭ মেট্রিক টন লোকসান হয়েছে । যা ওই অর্থবছরে মোট উৎপাদনের ৪.৫২ শতাংশ। কিন্তু গত বছরে কোন লোকসান হয়নি । কিন্তু উক্ত লোকসানের কোন সন্তেষজনক কারন দেখাতে পারেনি সোনালি আশঁ।

 

 

আজকের বাজার / মিথিলা