সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা বাড়ছে সরকারের

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণও করতে পারবে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেই প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তবে সবার আগে জনসচেতনতা তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই ছড়িয়ে দেয়া হয় রাজনীতিক কিংবা সেলিব্রেটিদের ফোনালাপ অথবা গোপন ভিডিও। আবার সংকটময় পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নানা গুজব। যা কখনো কখনো অরাজকতা তৈরি করে।

এসব অভিজ্ঞতা থেকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াচ্ছে সরকার। ঢেলে সাজানো হয়েছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে।

তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের জায়গা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেপ্টেম্বরের পর থেকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রত্যেকটি স্ট্যাটাস, লাইন মনিটরিং এবং বন্ধ করার ক্ষমতা রাখবো। এছাড়া আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও অনেক বাড়বে।

এছাড়া, ইন্টারনেটে ফানি ভিডিওর নামে নানা অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে তরুণ সমাজের মাঝে। এসব বিষয়েও সচেতন রয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ২২ হাজার পর্ণ সাইট বন্ধ করেছি। সানাই, বাদাইম্মা, সালমান মুক্তাদির এরা পর্ণগ্রাফির প্রসার ঘটাচ্ছিল, আমরা তাদেরকে সতর্ক করেছি এই অর্থে যে তাদের এই সতর্কতা দেখে যেন অন্যরাও শিক্ষা নেয়। আমাদের হাতে যতটুকু প্রযুক্তি আছে কেউ চাইলেই কোন ওয়েবসাইট চালাতে পারবে না। যদিও খুলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটা বন্ধ করার ক্ষমতা আছে।’

তথ্য প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করা জরুরি।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সাঈদ জাহিদ হোসেন বলেন, কোন কোন অপরাধগুলো সাইবার ক্রাইম হিসেবে পরিগনিত হবে এটা নিয়ে সাধারণ মানুষরা এখনও সচেতন না। মানুষের মধ্যে যদি সচেতনতা না বাড়াতে পারি তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম হুমকির মধ্যে পড়বে।

শুধু মুচলেকা দিয়ে নয়, অপরাধীদের সাইবার নিরাপত্তা আইনে শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন তারা।

দিন দিন ইন্টারনেটের গতি যত বাড়ছে, ততই ইন্টারনেটকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে সরকারের কাছে। তাই যেকোন সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।

আজকের বাজার/এমএইচ