সোহেলের মরদেহ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ফায়ারম্যান সোহেল রানার মরদেহ আজ (সোমবার) রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে কিছু ফরেনসিক ফরমালিটিজ রয়েছে, সেগুলো সম্পন্ন হয়েছে। ইসলামিয়া বাস্কেট কোম্পানির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে আজ রাত ৮টায় ফায়ার ফাইটার সোহেল রানার মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে সোহেলের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা সিএমএইচ মরচুয়ারিতে নেয়া হবে।

শাকিল নেওয়াজ বলেন, সোহেল রানার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তাদের সাথে কথা বলে ঢাকায় জানাজার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর সোহেল রানার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হন। ওইদিন কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা উঁচু ল্যাডার (মই) দিয়ে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছিলেন।

ভবনে আটকে পড়া ৪-৫ জনকে উদ্ধার করে একসঙ্গে নিচে নামানোর সময় ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল। ওভারলোড হলে সাধারণত ল্যাডার নিচে নামে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। তাই ল্যাডারের ওজন কমাতে এক পর্যায়ে সোহেল নিজেই ল্যাডার বেয়ে নিচে নামছিলেন।

ল্যাডারের ওজন কমায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এতে করে তার একটি পা ল্যাডারের ভেতরে ঢুকে যায়। এছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে। এরপর থেকেই সংজ্ঞাহীন হন সোহেল।

সেখান থেকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে। সেখানে তাকে প্রতিদিন চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী তার অবস্থা উন্নতি হচ্ছিল না। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

গত ৫ এপ্রিল তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ