হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার সিঁড়ি সরাতেই হবে

ঢাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে সিঁড়ি অপসারণে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। ফলে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশ দিয়ে ওঠা-নামার সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ফ্লাইওভার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ সোমবার এই আদেশ দেয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ। আদেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার এরকম সিঁড়ি নেই।

আদালতে ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস.এম. মনিরুজ্জামান।

এস.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে দাখিল করেছিল। এটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ঘটনার কারণ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও এসব সিঁড়ি অপসারণের জন্য আরজি জানানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশের ফলে ফ্লাইওভার থেকে সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে কর্তৃপক্ষকে।

এর আগে গত ৩১ মে হানিফ ফ্লাইওভারের সিঁড়ি সরাতে কর্তৃপক্ষকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট।

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেয়। সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন কর্তৃপক্ষকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ওরিয়ন কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য কয়েকটি সিঁড়ি এবং ফ্লাইওভারের ওপর থেকে বাস স্টপেজ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল নামের এক আইনজীবী।

তার আবেদনে বলা হয়, ফ্লাইওভারে ওপরে স্টপেজ বানিয়ে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা হচ্ছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে; যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১০ জুলাই ২০১৭