হোয়াইট হাউসের কাছে সংঘর্ষ: কারফিউ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে

Protesters rally at the White House against the death in Minneapolis police custody of George Floyd, in Washington, D.C., U.S. May 31, 2020. REUTERS/Jonathan Ernst

হোয়াইট হাউসের কাছে রোববার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া দেশটির বড় বড় শহরগুলোতে কারফিউ জারি রয়েছে। হোয়াইট হাউসের কাছে সংঘর্ষের সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস এর খবরে বলা হয়েছে, এর আগে শুক্রবার রাতে হেয়াইট হাউসের কাছে বিক্ষোভকালে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাংকারে নিয়ে যায়।

গত ২৫ মে মিনেপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের নিরস্ত্র এক কৃষাঙ্গ প্রাণ হারালে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। হত্যাকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র থেকে আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে হোয়াইট হাউসের কাছে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, পেপার স্প্রে ছুঁড়ে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এদিকে দাঙ্গা রোধে কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটন, লস অ্যাসেঞ্জলেস ও হিউস্টসহসহ কয়েকটি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে।

ওয়াশিংটনের মেয়র রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন। গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরে সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার ফিলাডেলফিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী শান্তা মনিকায় লটুপাট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে বিকাল ৪টা থেকে ভোর পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গত সোমবার মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চোওভিন ফ্লয়েডের গলায় নয়মিনিট হাঁটু চেপে ধরে রাখেন। এতে ফ্লয়েড দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। চোওভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। অন্য তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলেও কোন অভিযোগ আনা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মিনেসোটার গভর্ণর ন্যাশনাল গার্ডের পুরো বাহিনীকে রাস্তায় নামিয়েছেন।

মিনেপোলিসে শনিবার রাতে কারফিউ উপেক্ষা করে যারা রাস্তায় নেমেছে তাদের সরিয়ে দিতে টিয়ার গ্যাস ও গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে, ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় ৫ হাজার সদস্যকে ওয়াশিংটনসহ ১৫টি রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। আরো ২ হাজার সদস্যকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প এই সহিংসতার জন্যে চরম বামদের দায়ী করে বলেছেন, তিনি আনতিফা নামের একটি গ্রুপকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করছেন।

নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন একটি বিক্ষোভস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, আমরা পুরো জাতি এ মুহুর্তে গভীর বেদনাসিক্ত। কিন্তু এই বেদনার কারণে আমরা আমাদের ধ্বংস করতে পারি না। ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের কারণে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের সামনেও শত শত লোক বিক্ষোভ করেছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান