১০ জনের চেলসিকে জিততে দেয়নি লিভারপুল

সাদিও মানের দুই গোলে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে গতকাল স্বাগতিক চেলসিকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে লিভারপুল এটাই প্রমান করেছে যে ব্লুজরা এখনো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ে চ্যাম্পিয়নদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে।

ব্লুজ গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার আরো একটি মারাত্বক ভুলের খেসারতে ৫৪ মিনিটে পরাজয় নিশ্চিত হয় চেলসির। বিপরীতে ম্যাচ শেষের ১৫ মিনিট আগে জর্জিনহোর পেনাল্টি রুখে দিয়ে লিভারপুল গোলরক্ষক এ্যালিসন বেকার প্রমান করেছেন কেন তিনি চ্যাম্পিয়ন দলের এক নম্বর গোলরক্ষক।

এই জয়ে শীর্ষে তাকা এভারটন, আর্সেনাল ও ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের উপরের দিকেই রয়েছে লিভারপুল। এই পাঁচটি দল প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।

এবারের গ্রীষ্মকালীণ ট্রান্সফার মার্কেটে চেলসি সর্বোচ্চ ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। গত মৌসুমে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে ৩৩ পয়েন্ট পিছিয়ে চতুর্ত স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করার পর চেলসির একটাই লক্ষ্য যেভাবেই হোক পুনরায় লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করা।

কিন্তু রক্ষনভাগসহ অন্যান্য গুরুত্বপণূ পজিশনের দিকে না তাকিয়ে শুধুমাত্র ফরোয়ার্ড লাইন শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত হয়ত বুম্যেরাং হয়ে দেখা দিয়েছে। ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের দলের হয়ে খেলতে আসা থিয়াগো সিলভা মূল দলের খেলার জন্য এখনো ফিট হতে পারেননি। রক্ষনভাগের দূর্বলতা তাই দলের রয়েই গেছে। আর এটাই কাল ম্যাচ পরাজয়ের মূল কারন হিসেবে সবাই দেখছে। গেল মৌসুমে ৫৪ গোল হজম করা চেলসি প্রথমার্ধেই লিভারপুলকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে।

মোহাম্মদ সালাহর ক্রস থেকে রবার্তো ফিরমিনোকে আটকাতে গিয়ে চেলসি ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেকে বেগ পেতে হয়েছে। লিভারপুলের আধিপত্য বজায় থাকলেও প্রথমার্ধে সবচেয়ে সেরা সুযোগটি পেয়েছিল চেলসি। টিমো ওয়ার্নার অবশ্য সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি।

জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রস থেকে মানেকে আটকাতে গিয়ে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফাউল করে বসেন ক্রিস্টেনসেন। রেফারি পল টিয়ারিন প্রথমে তাকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর এর সহায়তায় শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টেনসেনকে লাল কার্ড দেয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় চেলসিকে ১০জন নিয়েই খেলতে হয়েছে।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশেষে রেডসের হয়ে অভিষেক ঘটে থিয়াগো আলকানটারার। ইনজুরি আক্রান্ত হেন্ডারসনের জায়গায় তিনি দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। ফিরমিনোর ক্রস থেকে শক্তিশালী হেডে দলকে প্রথম গোল উপহার দেন মানে। চার মিনিট পর কেপার বাজে একটি পাসে মানে বল পেয়ে খালি জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুন হয়।