১২ নভেম্বর স্মরণ: উপকূল রক্ষায় পৃথক বোর্ড গঠনের আহ্বান

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সমগ্র উপকূলের ওপর আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় স্মরণে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা পৃথক ‘উপকূল বোর্ড’ গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তারা বলেছেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সমগ্র উপকূলের ওপর যে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, তার ক্ষত আজো শুকায়নি। ফলে আমাদের উপকূল আজো অরক্ষিত। তাই পৃথক বোর্ড গঠন করে এর মাধ্যমেই সেখানকার সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে।

আজ সকালে এক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। পরিবেশ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) ‘আমাদের উপকূল কি সুরিক্ষত?’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থর নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাষ্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে।

রফিকুল আলম বলেন, সত্তরের ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্ক বার্তা প্রচারের বিষয়ে বেশ অগ্রগতি হওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমে এসেছে। তবে উপকূল রক্ষায় টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।

আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, সত্তরের ১২ নভেম্বরের পর আরো বেশ কয়েকটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। কিন্তু আমরা সেগুলো থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা নেইনি। প্রতিবছর বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হলেও সেগুলো যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে না। কারণ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে।

উপকূলীয় জনপদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পৃথক উপকূল বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, এই বোর্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে।

এস এম নাজের হোসাইন বলেন, উপকূলীয় জনপদ ও সেখানকার জনজীবনকে রক্ষার জন্য দরকার পরিকল্পিত পদক্ষেপ। পর্যাপ্ত সংখ্যক সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ হলেও সেগুলো বহু শেল্টার অরক্ষিত পড়ে থাকে। যেসব বাঁধ নির্মাণ হয় সেগুলোও অল্পদিনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে কিংবা তাতে ফাটল ধরে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান