১৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট চায় কৃষি মন্ত্রণালয়

আসন্ন বাজেটে ১৪ হাজার কোটি টাকার উপর বাজেট বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন হাওড়ের অকাল বন্যার অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নিয়ে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলার পদক্ষেপ বের করতে, আসছে বাজেটে আবহাওয়া গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ দেয়া উচিত।

শহরের বিস্তৃতি আর শিল্পায়নের প্রসারের পরও দেশের ৭০ ভাগ মানুষ কোন না কোনভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল।এমনকি জিডিপিতে কৃষির অবদান প্রায় ১৫ ভাগ। তারপরও প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়লেও সেভাবে বাড়ছে না কৃষি খাতে বরাদ্দ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের গত আট বাজেটে কৃষি খাতে সবচে বেশি বরাদ্দ ছিল ২০১২-১৩ অর্থ-বছরের। চলতি অর্থ-বছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। আর আসছে অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত সব সময় বড় সমস্যা। তাই বাম্পার ফলনও কৃষকের মুখে হাঁসি ফোঁটাতে পারে না। ভারত থেকে চাল আমদানির কারণে গত বোরো মৌসুমে কৃষকরা ধানের দাম পায়নি। দেরিতে হলেও চলতি বাজেটে অবশ্য আমদানিতে আরো পাঁচ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছিল সরকার।

সম্প্রতি হাওড়ের সাত জেলায় অকাল বন্যায় সেখানকার ৭৫ শতাংশ ফসল তলিয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ২২ লাখ টন ধান হারিয়েছেন কৃষক। গত ১৭ বছরে হাওড়ে ফসলহানি হয়েছে আট বার। তাই কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মাথায় নিয়ে আবহাওয়ার ওপর গবেষণা বাড়াতে হবে।

আজকের বাজার: আরআর/ ২৯ মে ২০১৭