২শ’ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসি

নগরীতে প্রায় ২’শ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণ, খাল খনন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য গাড়ী ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ বেশ কিছু উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল সিটি করর্পোরেশন (বিসিসি)।

বিসিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এডিপি-তে অন্তর্ভুক্ত বিসিসি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২’শ ৫০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮ মিটার খাল খনন (কোর এরিয়া), ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১’শ ১৫ বর্গমিটার পাড় সংরক্ষণ-ব্লক ফুটপাত ও সবুজায়ন, ৩০টি ঘাটলা নির্মাণ, ১ হাজার ৬’শ ১৫টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ, ৪৭ হাজার ৩’শ ৪৫ মিটার ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মাণ, ১’শ ৯৫ আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ, ৫৮ মিটার পিসি ব্রিজ নির্মাণ, ১ টি মিউজিক্যাল ফোয়ারা নির্মাণ, ২টি পিকআপ ক্রয়, ২টি এক্সাভেটর ক্রয়, ৬টি মোটরসাইকেল ক্রয়, ৩ লাখ ৯ হাজার ৬০ বর্গমিটার ১০টি পুকুর খনন, ওয়াকওয়ে ও বেশ কিছু গার্ডেন লাইট।

এবিষয়ে সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও বীর-মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর লাল দত্ত বাসস’কে বলেন, রাস্তা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণ ও খাল খনন প্রকল্পটি শুরু হলে প্রকৃতপক্ষে নগরবাসী উপকৃত হবেন। নগরবাসীর জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্য সম্মত ও পরিবেশ-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হবে।

প্রবীন এ সাংবাদিক আরো বলেন, খাল দখলমুক্ত করা না পর্যন্ত জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে না। যে কোনো জায়গার ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রাথমিক অবকাঠামো হচ্ছে খাল। এর মাধ্যমে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়ে নদীতে নিষ্কাশিত হয়। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির সময় পানি দ্রুত বের হতে পারে না বলে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মুহম্মদ নুরুল ইসলাম বাসস’কে জানান, এ প্রকল্পটি প্রস্তুত করতে অনেকদিন ধরেই কাজ করা হচ্ছে। এ প্রকল্প হলে প্রায় ২’শ কিলোমিটার নতুন ফুটপাত ও নতুন কিছু রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া বর্তমানে যারা অবৈধভাবে বিভিন্ন খাল দখল করে আছে, তাদেরকে পুনর্বাসন করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনান, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বরিশাল নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পানি প্রবাহ সচলকরণ, বিশুদ্ধ পানির প্রবাহ নিশ্চিতকরণ। নগরীতে বর্তমানে খালের সংখ্যা প্রায় ৪৬ টি। খালগুলো ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ হ্রাস পেয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য নগরীর নতুন ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও খালগুলোর উন্নয়নে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে খালগুলো খননের পাশাপাশি প্রশস্ততাও বাড়ানো হবে।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান