২০২০ সালে হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ঢাকায়

‘মক্কা রুট উদ্যোগের’ আওতায় আগামী বছর বাংলাদেশের সকল হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া রাজধানী ঢাকার আশকোনা ‘হজ ক্যাম্পে’ সম্পন্ন করা হবে।

রোববার সকাল ১১টায় ‘হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার’ কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সভায় এ কথা জানানো হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ লক্ষ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্পের সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ অতিদ্রুত শুরু করার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে।

তিনি জানান,২০০৯ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬ শ’ ২৮ জন। ২০১৯ সালে এসে হজযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯ শ’ ২৩ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশি হজযাত্রী বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশী।

সভাপতির বক্তৃতায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকারের ‘মক্কা রুট উদ্যোগ’ কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে সকল হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনা হবে ইনশাআল্লাহ।

শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ভবিষ্যতে হজযাত্রীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি এ সংক্রান্ত কার্যক্রমের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন থেকে হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন,২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সৌদি এয়ারলাইন্সের পরিচালিত হজফ্লাইটের মাধ্যমে ‘মক্কা রুট উদ্যোগ’ কর্মসূচির আওতায় যারা হজ করতে গেছেন তাদের লাগেজ ট্যাগ গ্রহণ ও ইমগ্রেশন প্রক্রিয়ায় বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এ কারণে ২০২০ সালের সকল হজযাত্রীর বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ ক্যাম্পে করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ধর্ম সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, ঢাকাস্থ হজ অফিস, সিভিল এভিয়েশন কতৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (হাব) প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ