২০২০-’২১ সালে পোশাক রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলার: বস্ত্র সচিব

আগামী ২০২০-’২১ সালে পোশাক রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

তিনি আজ সকালে সচিবালয়ের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ’এবং আগামী ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি বহুমুখী বস্ত্র মেলা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।খবর বাসস।

এ সময় বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা ও বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আগামী ৯ জানুয়ারী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী বহুমুখী এই বস্ত্র মেলার উদ্বোধন করবেন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি।

বস্ত্র সচিব বলেন, বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রপ্তানী বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।

লোকমান হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে বস্ত্র শিল্পখাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। সে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার বস্ত্রখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও বর্তমান সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার অনুযায়ী মিশন প্রস্তুত ও অনুরূপভাবে উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বস্ত্রখাতের উন্নয়নে মন্ত্রণালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বিকাশমান বস্ত্র শিল্প কারখানার জন্য মানসম্মত বস্ত্র উৎপাদনে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার লক্ষ্যে সরকারী পর্যায়ে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে ৪২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ৭টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও ৭টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অবদান বিবেচনায় ‘‘বস্ত্রখাত’’ দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনের সাথে সমন্নয় সাধন করে বস্ত্র শিল্পখাতকে স্থিতিশীল রাখার কার্যক্রম গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করে আসছে সরকার।

বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে লোকমান বলেন, নিবন্ধিত বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিতকরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার।

বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের ‘সবুজ কারকানা’ (গ্রীনফ্যাক্টরী) নির্মানে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নতমানের কারখানার ৭টিই বাংলাদেশে অবস্থিত বলেও জানান তিনি।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান