মিয়ানমারকে রাজি করাতে না পারা সমন্বিত ব্যর্থতা: জাতিসংঘ

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে পৌঁছাতে যাচ্ছে: সেপ্পো

রেহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মিয়ানমারকে রাজি করাতে না পারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘সমন্বিত ব্যার্থতা’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সাথে বুধবার নগরীর বিআইআইএসএস মিলনায়তনে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘মিয়ানমারকে প্রভাবান্বিত করতে না পার একটি সমন্বিত ব্যর্থতা। শুধু জাতিসংঘই নয়, এতে আরও অনেকেই আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা মনে রাখা সত্যি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা একটি টেকসই সমাধানের চেষ্টা করছি যা বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে গঠিত। আমি মনে করি রোহিঙ্গা সংকটের জটিলতাকে কেউই ছোট করে দেখেন না।’

সেপ্পোর মতে, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা উচ্চ ধারণা নয়, এটি একটি বাস্তব প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এ সমস্যার তৈরি করার মূলে আছে মিয়ানমার এবং এর সমাধানও তাদের হাতে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন প্রায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার উদ্বাস্তু বসবাস করছে। যাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

সীমান্তের উভয় পাশে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, রাখাইন রাজ্যের অবস্থার উন্নতির উপায় নিয়ে কাজ করা অব্যাহত রাখতে হবে।

এটি রোহিঙ্গা জনগণকে কয়েক দশক ধরে জর্জরিত করে রাখা সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির করুণ চক্রের অবসান করার একমাত্র উপায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব এ আলোচনার আয়োজন করে। ডিক্যাব সভাপতি রাহিদ এজাজের সভাপতিত্বে এতে সাধারণ সম্পাদকও বক্তব্য রাখেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ