২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সম্মলিত চেষ্টায় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা হবে। আগামীকাল বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দেয়া একবাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোপূর্বে, আমি ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘আইনের সুফল পেতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সেজন্য তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক ৫০% স্থানজুড়ে প্রচলিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্ক বাণী বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি ও তামাকের কর কাঠামোকে সহজীকরণ করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। সকলে মিলে চেষ্টা করলে ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারব, ইনশাআল্লাহ। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকের ভয়াল থাবা থেকে সকলকে রক্ষা করতে সরকার ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধি জারি করেছে।’ এসডিজি অর্জনকে গুরুত্ব দিয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়মূল্যের ওপর শতকরা ১ ভাগ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ এবং সারচার্জ হিসেবে সংগৃহিত অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ২০১৭’ অনুমোদন করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়। বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুলসহ সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়।’ তিনি বলেন, ‘এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি। এজন্য তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধকে বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।এ লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণচুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি প্রণয়ন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের এজেন্ডাভুক্ত করে এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি প্রণয়ন করেছে।’ বাণীতে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।