২ বছরে ২ লাখ ইসিআর দেবে এনবিআর

আগামী ২ বছরে ২ লাখ ব্যবসায়ীকে সাশ্রয়ী মূল্যে ইসিআর মেশিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর সদস্য ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হাসান। ১৯ জুন সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক বিভাগীয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের ইসিআর ও পস মেশিন বিষয়ে এনবিআরের আদেশ রয়েছে। ভ্যাট নিশ্চিত করতে সরকার ব্যবসায়ীদের ইসিআর মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। সরকার যেসব মেশিন ব্যবসায়ীদের দেবে তা ভ্যাট অনলাইন সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে ভোক্তা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন তার ভ্যাট রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে কি-না।

“তবে আমরা তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করতে চায়। কারণ সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করার পর ইসিআর মেশিন দিতে হবে। এর ফলে শতভাগ ভ্যাট নিশ্চিত হবে।”

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, চীন ও ভিয়েতনামে ইসিআর মেশিন সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত করা শুরু করেছে। এ বিশাল ডাটা সেন্টার ম্যানেজ করা আমাদের দেশে এখনো গড়ে উঠেনি। সেজন্য আমাদের ধীরে ধীরে যেতে হবে। আমরা প্রথমে বড় ব্যবসায়ীদের দিয়ে শুরু করবো। ধীরে ধীরে মাঝারি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দিকে যাবো। আমাদের টার্গেট- আগামী বছর বা দুই বছরের মধ্যে ৫০ হাজার করে ২ লাখ ইসিআর মেশিন ব্যবসায়ীদের দেওয়া। যাতে ক্ষুদ্র পর্যায় থেকে ভ্যাট রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পৌঁছে।

রেজাউল হাসান বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের শুরুতেই আমরা ১০ হাজার ইসিআর মেশিন ব্যবসায়ীদের দেবো। বছর শেষে এ হার ৫০ হাজারে নিতে চায়। প্রতিবছর আমরা ৫০ হাজার বা ১ লাখ করে দেব।

ইসিআর মেশিনের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ছোট দোকান হলে ৫ হাজার টাকার ইসিআর মেশিন যথেষ্ট। মাঝারি দোকান হলে ১৫ হাজার আর বড় দোকান হলে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাগতে পারে। আরও বড় দোকান হলে দুই আড়াই লাখ টাকাও লাগতে পারে। এনবিআর থেকে যেসব মেশিন দেওয়া হবে তার দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে হবে। এসব ইসিআর মেশিন মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকবে। বর্তমানে সাড়ে ৪ হাজার ইসিআর মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা বিভাগের জেলাসমূহের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, এনবিআর সদস্য সুলতান মো. ইকবাল ও ভ্যাট কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৯ জুন ২০১৭