২ মাসে মাছ রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৯.৬৪%

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১০২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা; যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ২ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ২ মাসে ৮ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার আয়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে, আয় হয়েছে ১২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ৩৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৭-১৮ অর্থবছরেরর প্রথম ২ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৭ দশমিক ০২ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের প্রথম ২ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ৬৩ দশমিক ০৪ শতাশ কমেছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ কম। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ৯৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে চিংড়ি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এই সময়ে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রপ্তানি আয় ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

আলোচ্য সময়ে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কাঁকড়া রপ্তানি আয় ১৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮ লাখ মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসের তুলনায় এই খাতে চলতি অর্থবছরের একই সময়ের আয় ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। গত অর্থবছরে অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৪ অক্টোবর ২০১৭