৬ বছরে ৩১ লাখ বিদেশি বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে

গত ৬ বছরে ৩১ লাখ ২২ হাজার ৭৫৬ জন পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ১৯ জুন সোমবার সংসদে সরকারি দলের সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ২০১০ সালে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৫ জন, ২০১১ সালে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৭ জন, ২০১২ সালে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৩ জন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৬ জন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩১ জন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশে পর্যটক এসেছে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪ জন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদেশী পর্যটকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিদেশি ট্যুর অপারেটর বা পর্যটন বিষয়ক সাংবাদিক বা লেখক বাংলাদেশে পরিচিতিমূলক ভ্রমণে নিয়ে আসার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা যাতে সম্ভাবনাময় সোর্স দেশগুলোর ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে বিজনেস টু বিজনেস সভার আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল ও অনলাইন মাধ্যমে বাংলাদেশে ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য যাতে পর্যটকরা সহজে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হচ্ছে।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘ভিসা অন অ্যারাইভেল’র পরিধি বাড়িয়ে আরও বেশ কয়েকটি দেশকে অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।

মেনন বলেন, বিটিভি নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র এবং টিভিসি দেশের পর্যটন বিপণনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিষ্ট কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ‘ইভেন্ট’ এর আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। গত ২০১৬ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বরে কক্সবাজার সফলভাবে ‘পাতা নিউ ফ্রনটিয়ারস ফোরাম-২০১৬’ আয়োজন করার ফলে পর্যটন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, মংলায় তারকা মানের হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পায়রাবন্দর এবং মহেশখালীতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায় ওয়াচ টাওয়ার, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীর সোনারচরে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গঠন, কুয়াকাটা, তালতলী ও পাথরঘাটাকে নিয়ে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গঠন, ভোলার মনপুরা ও চর কুকরী-মুকরী, টাঙ্গুয়ার হাওর, সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ, পঞ্চগড়, নেত্রকোনার বিরিশিরি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা জেলার তালতলীতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তনের লক্ষ্যে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মেনন বলেন, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিকট বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ তুলে ধরতে সম্প্রতি ‘এক্সপ্লোরার অব ট্যুরিজম’ নামে একটি ভিডিও চিত্র তৈরী প্রচার করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সহায়তায় বিভাগওয়ারী বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ শীর্ষক সচিত্র তথ্য পুস্তিকা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও মিশনসমূহে ‘ডিপ্লোমেটিক ব্যাগে’ পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রচার সামগ্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৯ জুন ২০১৭