৮০২ কোটি টাকার ৭ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ১১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৭ প্রকার ওষুধ সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবসহ ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার ১০ জানুয়ারি সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

বৈঠকে কমিটি সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, দেশের ১৩ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৭ প্রকার ওষুধ ওষুধ সরবরাহের একটি ক্রয় প্রস্তাব কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্ল্যানে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জিওবি (উন্নয়ন) খাতের আওতায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এ ওষুধ ক্রয় করবে সরকার। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বৈঠকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) এর আওতায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ ও ২ পুনর্বাসন কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এতে ৩৯৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি আরও জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ’বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর আওতায় রূপকল্প-৯: ২ডি সাইসমিক প্রকল্পের আওতায় ২ডি সাইসমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পজিশনিং /টপো সার্ভে ইক্যুইপমেন্ট, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

একই বিভাগের ’বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর আওতায় রূপকল্প-৯: ২ডি সাইসমিক প্রকল্পের আওতায় ২ডি সাইসমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ২ ডি ফিল্ড প্ল্যানিং / ডিজাইনিং / কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইক্যুইপমেন্ট সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ১ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।

এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর আওতায় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ফাস্ট ট্র্যাক ভুক্ত প্রকল্প হিসেবে ‘মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মান প্রকল্পের’ জন্য আনোয়ারাতে ইপিসি ভিত্তিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কাস্টডি ট্রান্সফার মিটারিং স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যক্রমের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৩০ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

একই প্রকল্পের অর্থাৎ ‘মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের ৭৯ কিলোমিটার উচ্চচাপ সম্পন্ন গ্যাস পাইপলাইন নির্মানে (সেকশন এ, বি এবং সি) ১৪৮ কোটি ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পৃথকক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনটি লটে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

ওই প্রকল্পের ‘মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের ৭৯ কিলোমিটার উচ্চচাপ সম্পন্ন গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের (সেকশন-সি ও ডি) ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬৮ কোটি ১১লাখ টাকা।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স কর্তৃক ব্যবহারের লক্ষ্যে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার, ড্রোন শিল্ড এবং যানবাহন সংগ্রহের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘এস্টাব্লিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি (ইডিসি) বিষয়ক প্রকল্পের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে পণ্য, ভৌত কাজ এবং সেবা ক্রয়ের পদ্ধতি পরিবর্তনের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

আজকের বাজার : এলকে/ ১০ জানুয়ারি ২০১৮