৯ মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাব সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল সেবা পৌঁছানোর প্রভাব পড়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। ব্যাংকের শাখার মতো প্রায় সব সুবিধা পাওয়ায় গ্রাহকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২ টি হিসাব খোলা হয়েছে।
আর চলতি বছরের গত ৯ মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২টি হিসাব খোলা হয়েছে। যা ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৬টি। সে হিসেবে ৯ মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে চার লাখ ৯৩ হাজার ৭০৬টি।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫৬৫টিতে। আর এজেন্ট সংখ্যা দুই হাজার ১৫।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এসব আউটলেটের মধ্যে অনেকগুলো এখন যুক্ত হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) সঙ্গে। ইউডিসির সঙ্গে যুক্ত হওয়া আউটলেটের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। ইউডিসি থেকে সহজে রেমিট্যান্স গ্রহণ করাতে পারায় প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

চালু হওয়ার পর থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবে জমা এখন পর্যন্ত মোট পড়েছে ৯২২ কোটি ০৮ লাখ টাকা।
উল্লেখ, এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভিতর), বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারী সকল প্রকার ভুর্তকী গ্রহণ করা যায়।
তবে এজেন্টরা কোনো চেক বই বা ব্যাংক কার্ড ইস্যু করতে পারেন না। এজেন্টরা বিদেশি সংক্রান্ত কোনো লেনদেনও করতে পারেন না। এছাড়া এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো চেকও ভাঙানো যায় না। এজেন্টরা মোট লেনদেনের ওপর কমিশন পেয়ে থাকেন।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭