পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি ছাড়া ভুটানে ঢুকতে পারবে না ভারতীয়রা
সারাবিশ্বে ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেটে সমস্যা থাকবে
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৩২৮ তম সভা অনুষ্ঠিত
লুজারের শীর্ষে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার
সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার তালিকায় ওঠে এসেছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির দর কমেছে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যাইল ক্রাফট লিমিটেড। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির প্রায় ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইনটেক লিমিটেড। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ২০ দশমিক ৭১ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির প্রায় ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া লুজারে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, বিডি অটোকার্স, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারইস্ট ফিন্যান্স, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স ও সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
গেইনারের শীর্ষে সেন্ট্রাল ফার্মা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৯.৩১ শতাংশ।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে এই কোম্পানির ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২২ দশমিক ০৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সামিট পাওয়ার, উত্তরা ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, লিবরা ইনফিউশনস, সায়হাম টেক্সটাইল, ফাইন ফুডস ও আমান কটন ফেব্রিক্স লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ৬
পুঁজিবাজারে আসছে আইসিবির দেড় হাজার কোটি টাকা
পুঁজিবাজারে আসছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) দেড় হাজার কোটি টাকা। দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড বিক্রি করে তার মধ্য থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ১৭ জুলাই আইসিবির ২ হাজার কোটি টাকার নন-কনভারটিবল ফিক্সড রেট সাবর্ডিনেট বন্ড অনুমোদন করে।
ওই অনুমোদনের প্রায় দুই মাস পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৬৬০তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বন্ড বিক্রির ৭৫ শতাংশ অর্থ বাধ্যতামূলকভাবে আইসিবিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার অথবা ইউনিটে বিনিয়োগ করতে হবে।
এই কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপত্র মো. সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থের কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ আইসিবিকে বাধ্যতামূলক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্সে ১৯৯৬’র ২সিসি ক্ষমতা বলে এ শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই আইসিবির দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদনের সময় বিএসইসি জানায়, বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর। এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- নন-কনভারটিবল, পূর্ণ অবসায়ন, ফিক্সড রেট এবং অতালিকাভুক্ত সাবর্ডিনেট বন্ড। বন্ডটি সাত বছরে পূর্ণ অবসয়ন হবে।
এই বন্ড বিভিন্ন ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউস এবং উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীরা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। বন্ডটির অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা।
বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ আইসিবি চারটি উদ্দেশ্যে ব্যয় করবে বলে জানায় বিএসইসি।
এগুলো হলো :
এক. প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ পরিকল্পনায় বাজার সৃষ্টিকারী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন।
দুই. এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এনআরবি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফান্ড এর উদ্যোক্তা হিসেবে বিনিয়োগ।
তিন. অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সরকারের প্রাধিকারভুক্ত খাতে বিনিয়োগ।
চার. পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগ।
ওই সিদ্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কর্পোরেট শেয়ারহোল্ডারের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকটও এই বন্ড ইস্যু করা হবে। আইসিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইফুর রহমান।
এদিকে গত মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আইসিবির ইস্যু করা সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ব্যাংকের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সীমার বাইরে থাকবে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে আইসিবির সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ২৬ ক (১) (খ) ধারার বিধান পরিপালন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ব্যাংক কম্পানি আইনের ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অব্যাহতি প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই প্রজ্ঞাপনে সই করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এতোদিন পুঁজিবাজারের মাধ্যমে কেনা যেকোনো ধরনের বন্ড ব্যাংকের পুজিবাজার বিনিয়োগ সীমার অন্তর্ভুক্ত হতো। আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো তার আদায়কৃত বা পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশের বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে না।
ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৫.২৭%
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের উদ্বোধন রবিবার
ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৫.২৭%
সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৫.২৭ শতাংশ। আর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৩১ শতাংশ।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৮৭৯ কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছিল।
এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৩১ শতাংশ বা ১৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ বা ১৫ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ২৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ২১৩টির আর অপরিবর্তীত ছিল ১৯টির দর।
অন্যদিকে মোট লেনদেনের ৮৯.৩৯ শতাংশ ছিল এ ক্যাটাগরির, ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বি ক্যাটাগরির, ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ এন এবং ২ দশমিক ৪২ শতাংশ ছিল জেড ক্যাটাগরিরর কোম্পানির দখলে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৮৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, দর কমেছে ১৫৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার।