অবতরণ সম্পন্ন, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধানে নাসার পারসিভ্যারেন্স রোভার প্রস্তুত

লাল গ্রহ মঙ্গলে অতীতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা অনুসন্ধানে নাসার মহাকাশ যান পারসিভ্যারেন্স রোভার সাত মাসের যাত্রা শেষে বৃহস্পতিবার মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করেছে। অবতণের আগে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কৌশলে গতি নিয়ন্ত্রণ করে রোভারটি মঙ্গলের মাটিতে নামানো হয়।
প্যাসাডোনার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে মিশন কন্ট্রোল রুমে অপারেশন প্রধান স্বাতি মোহন ইস্টার্ণ টাইম ৩:৫৫ মিনিটে (২০৫৫ জিএমটি) রোভার মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করার ঘোষণা দেন। এ সময় কন্ট্রোল মিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উল্লাস প্রকাশ করেন।
বাস্তবে অবতরণের ঘটনা ঘোষণার ১১ মিনিট আগেই সম্পন্ন হয়। এই অবতণের রেডিও সিগনাল পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১১ মিনিট সময় লেগেছে।
অবতরণের পরপরই রোভারটি প্রথম সাদাকালো ছবি পাঠায়, এতে দেখা যায় লাল গ্রহের নিরক্ষীয় অঞ্চলটির উত্তরে জেজেরো ক্র্যাটারের অবতরণ স্থান পাথুরে ভূমি। রোভারের পাঠানো আরো ছবি, ভিডিও এবং মাইক্রোফোনে ধারণ করা মঙ্গলের সাউন্ড স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীতে পৌঁছাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই মঙ্গল মিশনকে “ঐতিহাসিক” হিসেবে উল্লেখ করে সাফল্যের প্রশংসা করেন।
তিনি এক টুইটে বলেন, “আজ আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, বিজ্ঞানের শক্তি এবং আমেরিকান দক্ষতার সাথে কোন কিছুই সম্ভাবনার বাইরে নয়।”
রোভারটি মঙ্গলের ৩০টি শিলা ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করে সিলযুক্ত টিউবে সংরক্ষণ করবে এবং এগুলো পৃথিবীর ল্যাবে বিশ্লেষণের জন্য ২০৩০ এর দশকে এখানে পৌঁছে দিবে।
এসইউভি (কার) আকারের রোভারটির ভর এক টন। এটিতে ৭ ফুট দীর্ঘ (২ মিটার) রোবটিক বাহু, ১৯টি ক্যামেরা, ২ টি মাইক্রোফোন এবং গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সরঞ্জাম রয়েছে।