আইপিও আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে নতুন নির্দেশনা

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর আবেদন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন কোম্পানি বাজারে আনতে এখন থেকে আইপিওর মূল আবেদন করার আগে প্রাক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগের পরিচালকের কাছে আবেদন করতে হবে। তিনি ছাড়পত্র দিলে কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর মূল আবেদন জমা দিতে হবে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার,৪ মে আইপিও আবেদন সংক্রান্ত এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি কর্মরত সব মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইপিও প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করার কমানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। বিধি অনুসারে, কোনো আইপিও আবেদন অসম্পূর্ণ থাকলে অথবা কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে আবেদন জমা দেওয়ার ৪০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে তা জানাতে হয়। কাছাকাছি সময়ে অনেক আবেদন জমা পড়লে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয় না। তাতে আইনী জটিলতা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে প্রাক যাচাই-বাছাই এর এই পথ বেছে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রাক বাছাইয়ে যোগ্যরা কমিশনের কাছে আবেদন করলে সেগুলোকে আর ততটা নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে না। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।

এছাড়া কমিশনে সরাসরি আবেদন জমার ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কারণেও কখনো কখনো সময় ক্ষেপন হয়। কোনো কারণে কমিশনের চেয়ারম্যান দেশের বাইরে অবস্থান করলে তার অনুমতির অপেক্ষায় আবেদন পড়ে থাকে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করতে পারে না। এতেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশ সময় চলে যায়। আগে থেকে বাছাই হয়ে থাকলে এই জটিলতাও অনেকটা এড়ানো সম্ভব।

নাম প্রকাশে এক মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, এখন চিঠি হাতে পাইনি। তবে সরাসরি ক্যাপিটাল ইস্যু বরাবর আবেদন করা গেলে কিছুটা সময় বাঁচবে। এতে করে ইস্যু যাচাই বাছাইয়ে গতি আসবে।