আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে আর দারিদ্র্য থাকবে না। দরিদ্র্য বলে আর কিছু বাংলাদেশে থাকবে না। ২০৪১ সালের মধ‌্যে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার যে কাজ করছে, তা এগিয়ে নিতেও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ‌্যানে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে বিগত সময়ে দলের অর্জন ও সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় দরিদ্র, গৃহহারা, হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী তালিকা বানান। তাঁদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দেব। তাঁরা যেন বেঁচে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করে দেব।’

আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনের স্লোগানই ছিল- ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।

আওয়াম বা জনগণের দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে তুলে ধরে তা নেতা-কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণের দায়িত্ব আমাদের।”

দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত দেশ। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কোনো বৈষম্য থাকবে না। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেব। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ‌্যম আয়ের দেশে উন্নীতের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি সেক্টরে যেন উন্নয়ন হয় সেজন্য ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মাইক্রো ক্রেডিটের পরিবর্তে মাইক্রো সেভিং করে দারিদ্র্য দূর করতে সফল হচ্ছি।”

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ‌্য নিয়ে ২০তম সম্মেলন করছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দলটি। সকালে বর্ণাঢ‌্য আয়োজনে সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত‌্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর ৩৫ বছর আগে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে টানা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ‘প্রাচ্য-পাশ্চাত‌্যের সেতুবন্ধন’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও জানান তিনি।

সভাপতির ভাষণের পর সম্মেলন মুলতবি করেন শেখ হাসিনা। দুপুরে খাবারের বিরতির পর সোহরাওয়ার্দী উদ‌্যানে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।॥ এই অধিবেশনেই দলের ভবিষ‌্যৎ কর্মপন্থা ও নতুন নেতৃত্ব গঠিত হবে।