আনিসুল হকের নামে সড়কের  দাবি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সদ্য প্রয়াত মেয়র ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হকের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাটি আয়োজন করে। মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর বিজিএমইএ’র নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আনিসুল হকের জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী নেতারা। তার নামে উত্তর সিটির কোন একটি সড়ক বা সরকারী স্থাপনার নামকরণের দাবি জানান তারা। পরে তার আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
স্মরণসভায় বক্তব্য প্রদান করেন, সরকারের বেসরকারী খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম, আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, ইঞ্জিনিয়ার কুতুব উদ্দিন আহমেদ, কাজী মনিরুজ্জামান, এস এম ফজলুল হক, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আবদুস সালাম, আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএ’র তপন চৌধুরী, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আজাদ, এফবিসিআই’র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএসইএ’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
সালমান এফ রহমান বলেন, আনিসুল হক রাজনীতিতে সফল হওয়ার পূর্বেই ব্যবসা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন সফল ব্যক্তি। ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপর আস্থা রেখেছিলেন। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রীর সেই আস্থার মর্যাদাই রাখেন নি, একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও যে দায়িত্ব এবং পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভালো কিছু উপহার দিতে পারে তিনি তা প্রমাণ করে গেছেন। আনিসুল হক কাজ দিয়েই মানুষের মাঝে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানুষের মৃত্যুর নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। তবে আনিসুল হকের মতো কাজ পাগল একজন মানুষকে আল্লাহ এতো দ্রুত নিয়ে যাবেন তা ভাবতেও পারিনি। আনিসুল হক একই সঙ্গে ছিলেন সফল মেয়র ও ব্যবসায়ী। পাশাপাশি নিজের সন্তানদেরও যোগ্য করে তুলতে তার যে ভূমিকা তা অনস্বীকার্য।
এফবিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম বলেন, ঢাকার মানুষকে নতুন একটি পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে সচেষ্ট থেকে কাজ করেছেন তিনি। তার কাজের মধ্যে দিয়েই তিনি মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করার কারণেই আনিসুল হক লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন জানিয়ে স্ত্রী রুবানা হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। তিনি আনিসুল হকের উপর আস্থা রেখেছিলেন বলেই আজ সে এতো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। পরিচ্ছন্ন ও কর্মময় একটা জীবনই চেয়েছিলেন তিনি। আর আল্লাহ সেই জীবনই তাকে দিয়েছিলেন। তাই আমরা তার কাজকে মূল্যায়ন করতে ’আনিসুল হক ফাউন্ডেশন’ করবো। এই ফাউন্ডেশন থেকে মিডিয়া, শিক্ষা এবং উদ্যোক্তা এই তিনটি স্তরে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
বিজিএমই’র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আনিসুল হক এই দেশের জন্য, ঢাকা বাসীর জন্য অনেক সংগ্রাম করে গেছেন। তার এই অবদান ভুলবার নয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি উত্তর সিটির কোন একটি সড়ক বা সরকারী স্থাপনা যেন আনিসুল হকের নামে নামকরণ করা হয়।
আজকের বাজার: আরএম/ওএফ/সালি, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭