এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন।
তিনি আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে এই ফলাফল প্রকাশ করেন।
এরআগে মাদ্রাসা ও কারিগরি সহ ১১টি বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে ফলাফল তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এবার করোনার কারণে ১ জানুয়ারী সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব না হলেও সেদিন থেকেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ শুরু হবে এবং ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেনীর বই প্রদান করা হবে। এবারে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তৃতা করেন।
করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় এই বছরের বিলম্বিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এবং সমমানের পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এবং ২৩ নভেম্বর শেষ হয়।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে এবার ১৮ লাখ ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন ও কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধুমাত্র তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষাগুলি পৃথক দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্য নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল।
বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো বাধ্যতামূলক বিষয়ে পরীক্ষায় বসেননি পরীক্ষার্থীরা।
তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ের ফলাফল এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) সহ শিক্ষার্থীদের আগের পাবলিক পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্ট গড় (জিপিএ) চূড়ান্ত ফলাফল তৈরিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি পত্রের পরীক্ষার সময়কাল ছিল দেড় ঘণ্টা এবং এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না।
প্রতিবারের মত এবারও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মুঠোফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে এসএসসির ফল পাওয়া যাবে।
বেলা ১২টা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।