করোনায় চট্টগ্রামে নতুন ৭ জন আক্রান্ত

করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ দিন জেলায় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর সাত ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নতুন ৭ আক্রান্তের মধ্যে শহরের ৪ জন ও দুই উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ১ জন ও আনোয়ারায় ২ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৩৮৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৭৮ জন শহরের ও ২৮ হাজার ৩০৭ জন গ্রামের।
গতকাল করোনায় কেউ মারা যায়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবরেটরিতে। এখানে ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন জীবাণুবাহকও পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে মাত্র ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২ জনের শরীরে করোনার ভাইরাস শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬টি নমুনায় গ্রামের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৬৬টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে।
এপিক হেলথ কেয়ারে ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন আক্রান্ত পাওয়া যায়।
এ দিকে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩১৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০৪ এবং চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো ১১টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।
তিন ল্যাবরেটরিতে ৫৩০টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন, নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল এবং এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ৪ দশমিক ২৫, চবিতে ২৫, সিভাসু’তে ৬ দশমিক ২৫, শেভরনে ০ দশমিক ২৭ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।