করোনায় মৃত্যুশূন্য চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ১০ জন

করোনায় মৃত্যুশূন্য চট্টগ্রামে নতুন ১০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়েজেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮ জন এবং দুই উপজেলার ২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ১৫৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯২৮ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২২৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ২ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২১ জন শহরের ও ৫৯৭ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫০৮ জনের নমুনায় শহরের একজনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৮ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৮৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪ টি নমুনা পরীক্ষায় মধ্যে গ্রামের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬৭ টি নমুনায় শহরের একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫ ও নতুন যুক্ত মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিতেও করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
তবে, এদিন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনায় পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ১৯, চবি’তে ৩ দশমিক ১২, চমেকহা’য় ৪ দশমিক ৬৫, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ১৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৬০ এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।